নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার তুঙ্গে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। রাজ্যের মর্যাদা পাওয়া পর থেকে একবারের জন্য দিল্লির কুর্সি দখল করতে পারেনি। তাই, বিজেপির কাছে এই ভোট আরও বেশি চ্যালেঞ্জর। উত্তরপ্রদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। নরেন্দ্র মোদি তো বটেই, ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সৈনিক অমিত শাহ। মঙ্গলবার দিল্লির দ্বারকার জনসভা থেকে নমো দিল্লি বদলের ডাক দিয়েছেন।
পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। রাহুল গান্ধি, বোন প্রিয়ঙ্কা বঢরাও ভোটের প্রচারে। এই পরিস্থিতে কেজরির হয়ে ব্যাট করতে নেমে পড়লেন কন্যা হর্ষিতা। সংবাদসংস্থাকে হর্ষিতা বলেন, সাংসদ, মন্ত্রী নিয়ে প্রচারে এসে কোনও লাভ নেই। তাঁদের হয়ে ২ কোটি মানুষ প্রচার করছেন।বিজেপির ২০০ সাংসদ, ১১ মুখ্যমন্ত্রী এনে প্রচার করতে দিন, আর আমাদের হয়ে কাউকে নয়। দিল্লির ২ কোটি সাধারণ মানুষ আমাদের হবে প্রচার করছে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেটা সবাই দেখবে। অপবাদ না উন্নয়ন, কী দেখে ভোট দিলেন।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি আরও বলেন, 'সবাই বলে রাজনীতি নোংরা, কিন্তু এখন তা আরও নীচে নেমে যাচ্ছে। মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কি সন্ত্রাসবাদ? বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া কি সন্ত্রাসবাদ? জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করা কি সন্ত্রাসবাদ। এখানেই থেমে থাকেননি হর্ষিতা। তাঁর বাবার মতাদর্শের কথা তুলে আনেন তিনি। ঠিক যে মুহূর্তে নেতা মন্ত্রীদের ছেলে-মেয়েদের বেশিরভাগ রাজনীতি থেকে সরে আসতে চাইছেন। বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বার বার রাজনীতিতে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের অভাব অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে, ঠিক সেই সময় কেজরি কন্যার প্রচারে অংশগ্রহণ অন্য রকম বার্তা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই জানাচ্ছেন, শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম যত বেশি রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন, দেশের মানুষের কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা তত বাড়বে। কিন্তু কেজরি কন্যা এখনই সক্রিয়ভাবে এখনই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন না বলেই জানা গিয়েছে।