নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর লকডাউন চলাকালীন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আচমকা মৃত্যুর পর মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তারপর থেকে প্রচালিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একের পর এক প্রশ্ন করা থামেনি। শত বিদ্রুপ, বিরোধিতা, হুমকি, এমনকি নেতিবাচক জনপ্রিয়তাও দমিয়ে রাখতে পারেনি বলিউডের এই ঠোঁটকাটা ‘ক্যুইন’কে। আজকের জাতীয় পুরস্কারের সম্মান হয়তো এযাবৎ সমস্ত সমালোচনার উপযুক্ত জবাব।
হ্যাঁ, দেশের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। আজ ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতেই জ্বলজ্বল করতে দেখা গেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের নাম। মণিকর্ণিকা এবং পাঙ্গা সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
কঙ্গনা রানাওয়াতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যে উঠে গেছে একাধিক প্রশ্ন। বস্তুত, বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী যে আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর পরিচালিত বিজেপি সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা আর অজানা নেই কারোরই। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বারবার রাখঢাক না করেই গেরুয়া শিবিরের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছেন কঙ্গনা। সজোরেই বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদী মানুষ নন, তিনি আবেগের অপর নাম।” এখন নিন্দুক মহলের প্রশ্ন, নিরন্তর এই মোদী ঘনিষ্ঠতাই কি জাতীয় পুরস্কার এনে দিল কঙ্গনাকে?
কঙ্গনা রানাওয়াত ছাড়াও ৬৭তম জাতীয় পুরস্কার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী এবং ধনুশ। সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা। এছাড়া সেরা বাংলা সিনেমার পুরস্কারটি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত গুমনামি। সেরা স্ক্রিনপ্লে অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে এই ছবি। বলিউডে সেরা হিন্দি ছবির পুরস্কার পেয়েছে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত ‘ছিছোড়ে’। সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র সহায়ক রাজ্যের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে সিকিমের হাতে। সেরা পরিচালনার পুরস্কার পেয়েছে ‘নক নক নক’। এছাড়া ‘কাস্টডি’ পেয়েছে সেরা শর্ট ফিকশনের অ্যাওয়ার্ড।