তৃণমূল নেতাদের হয়ে জোড় সওয়াল কল্যাণের, চার্জশিটে স্যামুয়েলের নাম নেই কেন?

তৃণমূল নেতাদের হয়ে জোড় সওয়াল কল্যাণের, চার্জশিটে স্যামুয়েলের নাম নেই কেন?

কলকাতা:  ৫ বছর পর নারদ মামলায় নাটকীয় মোড়৷ সোমবার সাত সকালে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের ২ মন্ত্রী ও বিধায়ক সহ সদ্য বিজেপি ত্যাগী শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ সকালে গ্রেফতার হওয়ার পর বিকেলে মেলে জামিন৷ রাতে নিম্ন আদালতের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের৷ বুধবার পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷ 

আরও পড়ুন- তৃণমূলকে খুলে সমালোচনা করতে ইতস্তত সিপিএম, ব্যাতিক্রম শুধু বিকাশ!

গতকাল চার নেতাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পর ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে৷ বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি৷ তৃণমূল নেতাদের তরফে সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী ছিলেন সুদীপ্ত মৈত্র৷ অন্যদিকে, ধৃত চার জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানায় সিবিআই-এর আইনজীবী দীনেশ কুমার৷ আদালতে তাঁর দাবি, ধৃতদের চার জনই প্রভাবশালী৷ তাঁরা সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন৷ তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে৷ তথ্য কারচুপি হতে পারে৷ তাই তাদের জেল হেফাজতে রাখা হোক৷ এই আবেদন জানায় সিবিআই৷ পাল্টা সওয়ালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করেন এমন অভিযোগ আজ পর্যন্ত নেই৷ যত বারই তাঁদের ডাকা হয়েছে, ততবারই তারা হাজিরা দিয়েছেন৷ চার্জশিট পেশ হওয়ার পর কাউকে জেলে রাখার প্রয়োজনীয়তা কী? নারদকাণ্ডে বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? সেই প্রশ্নও তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

এদিন আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম৷ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে তিনি ব্যস্ত৷ এই মুহূর্তে ফিরহাদের গ্রেফতারিতে অসহায় হয়ে পড়বে কলকাতার মানুষ৷ ধৃতদের জামিনের আবেদনও করেন তিনি৷ নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর চার্জশিটে নাম রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সাসপেন্ডেড আইপিএস এসএসএইচ মির্জার৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডিবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ কিন্তু যে ম্যাথ্যু স্যামুয়েল স্টিং অপারেশন করেছিল তার নাম কেন চার্জশিটে নেই? সেই প্রশ্নও তোলে৷ এর পর সিবিআই-এর আবেদন নাকোচ করে চারজনেরই জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক৷ এর পর হাইকোর্টে যায় সিবিআই৷ 

হাইকোর্টে সিবিআই জানায়, চারজনকে গ্রেফতার করার পর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ দিনভর নিজাম প্যালের ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল৷ বিক্ষোভকারীরা হুমকিও দেয় বলে জানায় সিবিআই৷ ধৃতদের যাতে আদালতে না নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হয়েছিল৷ এর জন্যই ভার্চুয়াল শুনানি করতে হয়েছে৷ মামলা ভিন রাজ্যে সরানোর আর্জিও জানানো হয়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + seven =