কালীঘাটের কাকুকে ফাঁসিয়ে দিল ফোন! কী তথ্য জানা গেল সেখান থেকে?

কালীঘাটের কাকুকে ফাঁসিয়ে দিল ফোন! কী তথ্য জানা গেল সেখান থেকে?

ইডি-র হাতে  গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। জেরায় অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কোন তথ্যের ভিত্তিতে ইডি-র জালে জড়ালেন সুজয়? 

ইডি সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্য। সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। মঙ্গলবার জেরা করাকালীন সেই ফোন  সুজয়কৃষ্ণের সামনে অন করা হয়। কিন্তু সেই মোবাইলের তথ্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির জন্য যথেষ্ট ছিল না। এর পিছনে রয়েছে আরও এক তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য!  

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এক তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্যই কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারিতে অনুঘটকের কাজ করেছে। তদন্তকারিদের অভিযোগ, মোবাইলের তথ্য সামনে তুলে ধরার পরেও, তথ্য গোপন করছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না।

মোবাইলে কী তথ্যঃ

ইডির দাবি, যার মোবাইল থেকে এই তথ্য মিলেছে, তিনি আগেই স্বীকার করেছেন যে সুজয়কৃষ্ণর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই তথ্য গোপন করেন কালীঘাটের কাকু। প্রয়োজন পড়লে, কেস ডায়েরিতে সেই তথ্য উল্লেখ করা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। গোপাল দলপতির মুখেও একই নাম শোনা যায়। এরপরই ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তদন্তকারিদের আতসকাচের তলায় চলে আসেন তিনি।      

গত ২০ মে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনই ‘কাকু’র বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ওইদিনই কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। একই দিনে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার বাড়ি-অফিসে ১৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । তার আগে গত ৪ মে, একই ঠিকানায় সিবিআই তল্লাশি চলে।  

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বেনামি সম্পত্তির দিকে প্রথম থেকেই নজর রেখেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা লেনদেনের সঙ্গে তিনি জড়িত বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

ইতিমধ্যেই তিনটি কোম্পানির সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণর যোগাযোগের খবর সামনে এসেছে। তদন্তকারিদের অনুমান, বেআইনি পথে এইসব কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন কালীঘাটের কাকু। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে কী সপম্পর্ক রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ?  মঙ্গলবারের ম্যারাথন জেরায় সেই উত্তর জানতে চান  তদন্তকারীরা। কিন্তু, সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করা হয়।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − twelve =