কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ছাড় নয়! বিচার চেয়ে সায়ন্তিকার কাছে আবেদন রাজবংশী মহিলার

কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ছাড় নয়! বিচার চেয়ে সায়ন্তিকার কাছে আবেদন রাজবংশী মহিলার

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার পর্ব শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। শাসক-বিরোধী আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছে গ্রাম বাংলার ভোটের লড়াই। বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচার পর্ব শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রচারের মাঝেই কালিয়াগঞ্জে ছাত্রী খুনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি বাসস্ট্যাণ্ডে দলের এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সায়ন্তিকা। সেই সময় কালিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন এক রাজবংশী মহিলা। মঞ্চের একেবারে সামনে এসে নিজের বক্তব্য সায়ন্তিকার কাছে তুলে ধরেন সংঘমিত্রা অধিকারী। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন কাণ্ডে যুক্তদের শাস্তির দাবি তোলেন। ঘটনায় দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে বলে জানান সায়ন্তিকা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংঘমিত্রা অধিকারী জানান, কোচবিহারের ‘রাজবংশী’ পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে তিনি এই বার্তা সায়ন্তিকার মাধ্যমে ‘দিদি’র কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। তৃণমূলের প্রতি রাজবংশীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ঘটনায় যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন বলেও জানান সঙ্ঘমিত্রা। এবিষয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অন্যায় করুক তাকে শাস্তি পেতে হবে। অন্যায়কে কখনই সমর্থণ করেনা তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজবংশী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলেছিল কালিয়াগঞ্জে। গত ২১ এপ্রিল, শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী দেহ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় পাশের গ্রামের এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা।

জানা যায়, ২০ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকার ওই ছাত্রী।পর দিন সকালে তার দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দেহ নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় দুর্গাপুর-কালিয়াগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। রাস্তায় টাওয়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। নামানো হয় RAF-। অবরোধ তুলে দিয়ে পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় রীতিমত।  ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পঞ্চায়েত ভোট আবহে কালিয়াগঞ্জের সেই মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অভিযোগ জমা পড়ল বাঁকুড়ায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + four =