দিলীপ ঘোষের ঠোঁট আর জিভের চিকিৎসা করাতে হবে! একহাত নিলেন জ্যোতিপ্রিয়

দিলীপের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

কলকাতা: ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে এবং রাজনৈতিক উত্তাপ আরো প্রবল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে মৌখিক যুদ্ধের পরিমাণ আরো বেড়ে গিয়েছে।  সম্প্রতি, দলবদলের বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরোক্ষে অনুব্রত মণ্ডলকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার পাল্টা দিয়েছিলেন অনুব্রতও। এবার দিলীপের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মন্তব্য করলেন, দিলিপের নাকি ঠোঁট এবং জিভের চিকিৎসার দরকার রয়েছে।

জ্যোতিপ্রিয় কথায়, ঠোঁট এবং জিভের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় তাহলে সবার আগে করতে হবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এই প্রেক্ষিতে তিনি বঙ্গ বিজেপিকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে সেই চিকিৎসা খুব দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। দিলীপের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একইসঙ্গে বলেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি মাঝে মাঝে পাগলের মত কথা বলেন, তিনি এবং তাঁর দল শুধু রাজ্যে অশান্তি তৈরি করছে, সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। তবে শুধু দিলীপ ঘোষ নয়, বিজেপির অন্য এক সাংসদ অর্জুন সিংকেও কটাক্ষ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। বলেছেন, আগে শুধু রাতে অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে পা টলতো কারোর, এখন দিনের বেলাতেই ব্যারাকপুরের সাংসদ উল্টোপাল্টা কথা বলছেন! মূলত, তৃণমূল সাংসদদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অর্জুনের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

সম্প্রতি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের পাঁচজন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য একেবারে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে তিনি সরাসরি নাম নিয়েছিলেন সৌগত রায়ের। যার পাল্টা মন্তব্য করে সৌগত জানিয়েছিলেন, তিনি অন্য দল করবেন, মরে যাবেন, কিন্তু বিজেপিতে কখনো যাবেন না। অন্যদিকে দলবদলের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করে দিলীপ ঘোষ এবং অনুব্রত মণ্ডলও মৌখিক তর্কে জড়িয়েছেন। অনুব্রত সরাসরি দিলীপকে তৃণমূলে আহ্বান জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, দিলীপও তার পাল্টা দিয়েছে। এককথায় বঙ্গের রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ দিন দিন চড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =