‘দেখি কত দম!’ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা জ্যোতিপ্রিয়র

‘দেখি কত দম!’ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা জ্যোতিপ্রিয়র

কলকাতা: আবহাওয়ার খবর অনুযায়ী জানুয়ারির মাঝামাঝি রাজ্যের পারদ নেমে গেছে অনেকটাই, কিন্তু বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় চোখ রাখলে তা বোঝার উপায় নেই একেবারেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। সেই আবহেই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করে বসলেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

রাজ্যের ভোট পূর্ববর্তী একাধিক সভায় দাঁড়িয়ে তাঁর নামে অপ্রীতিকর কথা বলেছেন দিলীপ ঘোষ, এদিন এমনটাই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই মর্মে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। জানা গেছে, শুধু দিলীপ বাবুই নন, বুধবার বনগাঁ মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

ঠিক কোন কথার প্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী? সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্য জনসভায় তাঁর নামে কি কি ‘কুকথা’ বলেছেন। “উনি বলেছেন, ‘রাস্তায় জামাপ্যান্ট খুলে নেব’। আমাদের চোর বলেছেন উনি। চালচোর বলেছেন।” এরপরই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রীতিমতো হুমকি দেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, “এ সব কথা বলা এবার বন্ধ করতে হবে। আমি একের পর এক মামলা করে যাব। দেখতে চাই ওর কত দম।” বস্তুত, ভোটের আগে একে অন্যের এই ‘দম’ পরীক্ষা নিঃসন্দেহে উত্তাপ বাড়িয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, বুধবার দিলীপ ঘোষ এবং দেবদাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২০ নম্বর ঘরে মামলা করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মূলত রেশনের চাল, গম প্রভৃতি নিয়ে কারচুপির অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেই মামলা দায়ের করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। দেবদাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও শমন জারি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ প্রসঙ্গে দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি রাজ্যের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “এই রাজ্যে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার বিরোধিতা করা যাবে না। বিরোধিতা করলেই কেস হয়ে যাবে। বিজেপি করি বলেই আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *