justice ganguly
কলকাতা: প্রাথমিকের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের ‘ডিজিটাইজড কপি’ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। কোনও নথির ডিজিটাইজড কপি মানে কী? জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে ডেকে পাঠানো হল হাই কোর্টের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার কল্লোল চট্টোপাধ্যায়কে।
কল্লোল জানান, আসল নথি স্ক্যান করে তার প্রতিলিপি মোবাইলে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখাকেই বলা হল ‘ডিজিটাইজড কপি’৷ এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি৷ এই মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ ‘ডিজিটাইজড’ ওএমআর শিটের নাম করে যে তথ্য দিচ্ছে, তা আসলে হাতে টাইপ করা। তার সঙ্গে আসল কপির কোনও মিল নেই। হাতে টাইপ করা ওই তথ্যকে ‘ডিজিটাইজড’ বলে দাবি করছে পর্ষদ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের আসল ওএমআর শিট আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিন বিচারপতি ও সিবিআই আইনজীবীর মধ্যে যে কথোপকথন হয়-
বিচারপতি: কী ভাবে এটা ডিজিটাইজড ডেটা হতে পারে? সিবিআই এটাকে কী ভাবে ডিজিটাইজড ডেটা বলছে? আসলের সঙ্গে এর কোনও মিলই নেই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী: এসবসু রায় কোম্পানি এটাকেই ডিজিটাইজড ডেটা বলে উল্লেখ করেছে।
বিচারপতি: আপনারা সেটাই বিশ্বাস করে নিলেন? কিসের ভিত্তিতে মেনে নিলেন? ওই কোম্পানি যা বলছে, তা কি সব সত্য? আপনারা তো এসবসু রায় কোম্পানিকে রক্ষা করছেন। কেন ওই কোম্পানির কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি?