২০২০ সালে প্রাথমিকে বেনিয়ম, ফের CBI তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

২০২০ সালে প্রাথমিকে বেনিয়ম, ফের CBI তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

3dbdbb00e97c4f49629361e564d109c7

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির আরও একটি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল আগেই৷ সেই মামলার তদন্তভারও সিবিআই-এর হাতেই সঁপলেন বিচারপতি৷ 

আরও পড়ুন- প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয়! সাগরদিঘিতে ‘নতুন ভোর’ দেখল কংগ্রেস

২০২০ সালে প্রাথমিকে  শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নম্বর বিভাজন তালিকায় গরমিলের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পর্ষদ প্রকাশিত ওই তালিকায় ১৫-২০ জনের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে? প্রথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৷ কিন্তু দেখা যায়, সেখানে বেশ কিছু প্রার্থীকে ৬-এর বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে যেখানে বরাদ্দ ছিল ১০, সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৫ নম্বর। প্রশিক্ষণ পর্যায়ে বরাদ্দ ১৫ নম্বর বেড়ে হয়েছে ২৩! উল্লেখ্য বিষয় হল, এই নম্বর বিভাজন পুরোটাই করেছে পর্ষদের কনফিডেন্সশিয়াল বিভাগের অধীনে এস বসু রয় অ্যান্ড কোম্পানি। তেমনটাই অভিযোগ৷

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ছিল এই মামলার শুনানি৷ সওয়াল-জবাব চলার সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে বাইরের একটি এজেন্সি পর্ষদের কনফিডেন্সশিয়াল বিভাগের হয়ে কাজ করতে পারে? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন৷ 

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, যদি তদন্তে জানা যায় এই কারণে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তবে সেই সময় পর্ষদের অ্যাড হক কমিটিতে যাঁরা যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে জেরা করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে তাঁদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জেরা শুরু করবে সিবিআই। প্রয়োজনে  কমিটির সকলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে (সিস্টার এমিলি বাদে)। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চালাবে সিবিআই। আদালত গঠিত সিবিআইয়ের ‘সিট’ এই মামলার তদন্ত করবে। কিভাবে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে কনফিডেন্সিয়াল বিভাগ হিসেবে কাজ করতে দেওয়া হল, সেই তথ্য সামনে আসাটা অত্যন্ত জরুরি। ওই কোম্পানিও তদন্ত প্রক্রিয়ার আওতার বাইরে নয় বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। প্রয়োজনে তাদেরও হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। 

আদালত আরও জানায়, এই মামলায় ইডিকে সাহায্য করবে সিবিআই। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।