Justice for Abhaya
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। যে ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ৯ আগস্ট সকালে যখন প্রথম টেলিফোনে খবরটি পেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা, তখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
এমন খবর যে আসতে পারে সেটা কল্পনার অতীত ছিল তাঁদের। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে আরজিকর ইস্যুতে আন্দোলন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এই আবহের মধ্যে পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকে সোদপুরে নিজেদের বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে ধর্নায় বসেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। নির্যাতিতা বিগত কয়েক বছর ধরে বাড়িতে দুর্গাপুজো করতেন।
Abhaya murder case
গোটা বাড়ি আলোয় ঝলমল করতো। সেই বাড়িতে আঁধার নেমে এসেছে গত আগস্টেই। এখন নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। ধর্না চলবে দশমী পর্যন্ত। দলীয় পতাকা ছেড়ে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও আসতে পারেন সেখানে। তবে মঞ্চে তাঁদের স্থান হবে না। সেখানে থাকছেন শুধুই নির্যাতিতার আত্মীয়রা। সাদা কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। তার নীচে থাকা ব্যানারে লেখা রয়েছে,
“স্মৃতিভারে মোরা পড়ে আছি, ভারমুক্ত, সে এখানে নেই–শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ।”
West Bengal crime
বছর তিনেক আগে ‘অভয়া’র ইচ্ছাতেই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। গোটা বাড়ি উৎসব ঘিরে গমগম করত। কিন্তু অভিশপ্ত আগস্টের ঘটনাতেই পুরো ছবিটা বদলে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন,
“এটা কোনও কর্মসূচি নয়। আসলে মনের ব্যথা নিয়ে এখানে বসে আছি। অন্যান্য বছর তো পঞ্চমীতে ঠাকুর আসত বাড়িতে। মেয়ের উদ্যোগেই পুজো হতো। আর কোনও দিন আমাদের বাড়িতে পুজো হবে না, তবে বিচার মিলবে। বিচারের দিকে আমরা চেয়ে আছি।”
Durga Puja protest
এভাবেই পুজোর দিনগুলিতে বুকে কান্না চেপে রেখে মেয়ের সুবিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সত্যিই এক অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে তাঁদের জীবনে। এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হবে কোনও দিন ভাবতেও পারেননি তাঁরা। এখন শুধু একটাই প্রার্থনা, মেয়ে যেন সুবিচার পায়।