কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃতি মামায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘এরা ছাত্রদের ক্ষতি করেছে। আর নয়। এক মুহূর্ত আর চাকরি করবে না। একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেব না।’’
যাঁদের যাঁদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে তাঁদের নাম, ঠিকানা, কোন স্কুলে চাকরি করছেন, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আজ বেলা তিনটের মধ্যে বেআইনি নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে।
আদালতের এই নির্দেশের পরেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিস্ময়ের সঙ্গে বলা হয়, দু’ঘণ্টার মধ্যে সল্টলেক থেকে কী ভাবে তাঁরা হাইকোর্টে আসবেন? আরও একটু সময় দেওয়া হোক। কিন্তু এসএসসি-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বসু সাফ জানিয়ে দেন, কোনও সময় দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে আসুক। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যেই এই তালিকা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতেই হবে।
সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে দিয়েছে৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রুপ ডি নিয়োগে বেনজির জালিয়াতি হয়েছে৷ আসল ওএমআর শিটে কেউ হয়তো শূন্য পেয়েছেন, পরে সেই প্রার্থীর নামের পাশে ৪৩ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন এই সময়ে এই নিয়োগ দুর্নীতি হয়। ১,৬৯৮ জন অশিক্ষক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ ওঠে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>