search
নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানে নজিরবিহীন হামলা হয় ইডি আধিকারিকদের উপর। সেই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এরপর রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়, উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। এই আবহের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি। এগুলি কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। মাসের পর মাস ধরে বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় সিবিআই ও ইডির তল্লাশি অভিযান চলছেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি ঘটনারও কিনারা হয়নি। অর্থাৎ কেউ দোষী প্রমাণিত হয়ে পাকাপাকিভাবে জেলে গিয়েছেন, এমন কিছু ঘটেনি। তাই সকলের একটাই প্রশ্ন, শুধু কি তল্লাশি অভিযান চলতে থাকবে? সেখান থেকে কোনও রেজাল্ট পাওয়া যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে সিবিআই ও ইডিকেই।
ঘটনা হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা শেষ হতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে দেখা যাচ্ছে বার বার নিম্ন বা উচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। বুধবারও তাদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে নিম্ন আদালতকে। যদিও বিরোধীদের দাবি শাসকদলের এক শ্রেণির নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা দোষী প্রমাণিত হয়ে পাকাপাকিভাবে জেলে যাবেন। শুধু তাই নয়, যাদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের সূত্র ধরে নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য দুর্নীতির ঘটনায় যুক্ত মূল মাথারা গ্রেফতার হবেন। এমন দাবি বহুদিন ধরেই করছেন বিরোধীরা। কিন্তু কোথায় কি? দুর্নীতির তদন্ত এমন কিছু গতি পায়নি যার ভিত্তিতে বলা যায় শীঘ্রই পুরোপুরি জাল গুটিয়ে ফেলতে পারবেন তদন্তকারীরা। তাই শুধু শহর তথা রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযানই চলছে, কিন্তু রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে কি শুধু এমনটাই চলতে থাকবে? এই করতে করতে লোকসভা নির্বাচন এসে যাবে? তখন আবার তদন্ত প্রক্রিয়া থমকে যাবে না তো? এর উত্তর খুঁজছেন সবাই।