বর্ধমান: বিজেপির বাংলায় জনমত পাওয়ার চাবিকাঠি, কৃষকদের সমর্থন। আর এই কৃষক সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে শনিবার ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযানে’র সূচনাপর্বে বাংলার খাদ্যভান্ডার বর্ধমানে সফর করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর বর্ধমানের কাটোয়ার সভামঞ্চ থেকে শাসক দলকে একহাত নিলেন তিনি৷
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এদিন জগৎনন্দপুরের সভা থেকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কোনো লাভ নেই, মমতা দিদি, আপনার বিদায় আসন্ন।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আজ কৃষক সুরক্ষা অভিযান চালু করে দিয়েছি, ক্ষমতায় এলে কিষান সম্মাননিধিও চালু করে দেব।’ এভাবেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের চিত্রটা পরিষ্কার। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বারংবার কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সূত্রে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘দেশের সবকটি রাজ্যের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই কৃষকরা সবচেয়ে কম লাভ করতে পারেন। মমতাজি পরিস্থিতি এমনই তৈরি করে রেখেছেন।’ এছাড়াও তিনি এরাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোটি টাকার বিনিয়োগের কথাও উল্লেখ করেন।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প’কে কটাক্ষ করে বলেন, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় অনেক মানুষই এসেছেন এবং সুবিধা লাভও করেছেন। এছাড়াও তার কথায় উঠে আসে মহারাষ্ট্র থেকে একশটি কিষান ট্রেন চালুর কথাও। শনিবার নাড্ডার বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল রাজ্যে। ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ সূচনার পর তিনি জগৎনন্দপুর গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল এবং অনাজ সংগ্রহ করেন৷ সবশেষে সেইসব নিয়ে গিয়ে মুস্থূলি গ্রামের এক কৃষক মথুরা মন্ডলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। এসব কৃষকদের আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করলেন বলেই জানান এদিন নাড্ডা। শত বিক্ষোভের মাঝেই বাংলাকে পাখির চোখ করে যে পরপর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজেপি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷