ট্রাম্পের ফলাফলে খুশি নয় সাংবাদিকদের একাংশ! ব্যাখ্যা মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের

গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম প্রচুর সময় খরচ করেছিল।

নিউইয়র্ক: গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম প্রচুর সময় খরচ করেছিল। কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর কভারেজের জন্য। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি প্রার্থীদের মিলিয়ে এত টাকা খরচ করা হয়নি, যতটা শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য খরচ করেছিল আমেরিকান সংবাদমাধ্যম। পরবর্তী ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য ভাবে হিলারি ক্লিনটনকে হারানোর পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকেই সাংবাদিকদের একাংশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফের একবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আমেরিকায়, সংবাদমাধ্যমের লড়াই এবং তার ভূমিকা বিশ্লেষণ করলেন মিডিয়া রিসার্চ সেন্টার টেকওয়াজের সহ-সভাপতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান গাইনোর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ তার বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ট্রাম্প বিরোধী সাংবাদিকরা কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে তাকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে, তার পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবর করে তাকে কোণঠাসা করতে চেয়েছে। একই পদ্ধতি গ্রহণ করে তার অনুগামীদেরও সতর্ক করতে চেয়েছে। নিজের জীবনকে বিতর্কিত করার দায় স্বীকার করতে পারেন খোদ ট্রাম্পও। কারণ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজক মন্তব্য করে আমেরিকার সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। দেশজুড়ে ট্রাম্পকে নিয়ে বিক্ষোভও কম হয়নি। রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে চলতি নির্বাচনের ফলাফলে ট্রাম্প যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে ফের একবার আশঙ্কা করছেন আমেরিকার সাংবাদিকদের একাংশ। 

ফ্লোরিডার আসন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য, সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে, সেই আসনে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। অনুমান করা হচ্ছে, ফ্লোরিডায় যদি ট্রাম্প জিতে যান, তাহলে তাঁর নির্বাচন জেতার সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ বেড়ে যাবে। গত নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর থেকে এমন কোন বিষয় নেই বিতর্ক হয়নি। এমনকি হলিউডের সেলিব্রিটিদের অধিকাংশ ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। অস্কারের মঞ্চ থেকে কেউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করা হয়েছে, যা এক কথায় নজিরবিহীন। সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের একবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, এ মনটা হয়তো চায় না আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ। তবে নির্বাচনের ফলাফল যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আশঙ্কা না করার কোন কারণ নেই তাদের জন্য। 

চলতি নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যম তাদের সমর্থনের ভার বেশি রেখেছিল জো বিডেনের ওপর। প্রায় ৯৩ শতাংশ সমর্থন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =