ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন জো বাইডেন। বিশ্ব রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নে যে আমেরিকা বদ্ধপরিকর, বাইডেনের তৎপরতায় স্পষ্ট হচ্ছে সেই বার্তা। মাত্র কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তবে এবার একেবারে চিনের সঙ্গে আলোচনায় উদ্যোগী হল আমেরিকা।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার কথা বলেন চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে, সূত্রের খবরে জানা গেছে তেমনটাই। মূলত করোনা ভাইরাস অতিমারী এবং তৎপরবর্তী বিশ্ব নিয়েই কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এছাড়া আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও। এদিন হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জো বাইডেনের আলোচনার কথা জানানো হয়েছে। চিন এবং আমেরিকার চিরাচরিত দ্বন্দ্বে কি তবে এবার ঘটতে চলেছে ইতি? শুরু হয়েছে জল্পনা।
বস্তুত, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ে আমেরিকা যে বেশ সচেতন এবং সচেষ্ট, এর আগেও একাধিক বার তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদিন জি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের কথোপকথনেও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা, জীবনযাপনের অগ্রগতি, স্বাস্থ্য প্রভৃতি দিকগুলিই আমেরিকার প্রধান অগ্রাধিকার, এদিন চিনের সঙ্গে আলোচনায় সে কথা স্পষ্ট করেছেন বাইডেন।
বস্তুত, কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে একটি ফোন করেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেজিংয়ের অন্যায্য অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করাই ছিল সেই কথোপকথনের উদ্দেশ্য। তারই কিছুদিনের মাথায় দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কে ইতিবাচক আলোচনা নিঃসন্দেহে বিশ্ব রাজনীতিতে চর্চা বাড়িয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সৎভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং।