ওয়াশিংটন: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে তিনিই এখন হোয়াইট হাউসের সর্বেসর্বা। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক ছিল, জো বাইডেনের আমলে তা কি একই থাকবে? নাকি মার্কিন মুলুকে ক্ষমতার রদবদলের প্রভাব পড়বে দুই দেশের সম্পর্কেও?
গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পর থেকেই ভারতীয় কূটনীতিবিদদের মনে এই প্রশ্নটা উঁকিঝুঁকি মারছিল। নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ছিল খানিক সংশয়। কিন্তু গতকাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ভারতের সেই সংশয় উড়িয়ে দিলেন জো বাইডেন। নরেন্দ্র মোদীর দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তাই দিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় দিনেই তাঁর প্রশাসনের তরফ থেকে শোনা গেল ভারতের প্রসঙ্গ।
এদিন মার্কিন জনগণের সামনে এক সাংবাদিক বৈঠকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন স্যাকি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “ভারতে অনেকবারই গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি দুই দেশের নেতাদের মধ্যে দীর্ঘকালীন দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী দিনেও এই বন্ধুত্বের ধারা বজায় রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
এখানেই শেষ নয়, এদিন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের প্রসঙ্গে জেন স্যাকি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের উল্লেখও করেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের সঙ্গেই গতকাল শপথ গ্রহণ করেছেন। জেন স্যাকির কথায়, “এটি দেশের সকলের জন্য অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একইসঙ্গে তা আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে।”
উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে এদেশে একবারও আসেন নি জো বাইডেন। তিনি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে শেষ বার ভারতে এসেছিলেন। ইতিমধ্যে ৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর জো বাইডেনকে ‘উষ্ণতম অভ্যর্থনা’ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার থেকে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।