নাগপুর: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বিডেন। তাঁর নির্বাচনের পরেই ভারতে হইচই শুরু হয়ে গেছে, তার কারণ, বিডেনের সঙ্গে ভারত যোগ। জানা গিয়েছে, জো বিডেনের পূর্বপুরুষরা ভারতে থাকতেন। একথা বলেছেন স্বয়ং আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এই ঘোষণার পর থেকেই ভারতে তাঁর পূর্বপুরুষের খোঁজ শুরু হয়ে গেছিল। অবশেষে মিলল খোঁজ! নাগপুরের কিছু বাসিন্দা দাবি করেছেন, তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৮৭৩ সাল থেকে তাদের পরিবার নাগপুরে বসবাস করছে। প্রথমে ২০২৩ সাল এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে তারা জো বিডেন সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। এখন তাদের দাবি, তারাই তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যখন তৎকালীন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বিডেন ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর কিছু দূর সম্পর্কের আত্মীয় এ দেশে থাকে। পরবর্তী সময়ে, ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে বিডেন জানিয়েছিলেন, তিনি একজনের থেকে চিঠি পেয়েছিলেন এবং জানতে পেরেছিলেন, তাঁর গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্র্যান্ডফাদার ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজ করতেন। সেই চিঠিতে লিখেছিলেন লেসলি বিডেন নামের এক মহিলা। যার নাতি-নাতনিরা নাগপুরে থাকে, এবং তিনি দাবি করেছিলেন ১৮৭৩ সাল থেকে তারা নাগপুরে রয়েছেন।
লেসলির নাতনি সোনিয়া পেশায় মনোবিজ্ঞানী। তিনি জানাচ্ছেন, নাগপুরের বিডেনরা জো বিডেনের জয়ের জন্য ভীষণ খুশি। সোনিয়ার দাবি, লেসলি বিডেন নাগপুরে থাকতেন এবং ভারত লজ এবং হোস্টেল আর ভারত ক্যাফে নামক এক হোটেলের ম্যানেজার ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি মারা যান। সোনিয়ার কথায়, ১৯৮১ সালে লেসলি জো বিডেনকে চিঠি লেখেন এবং ভারতের তাদের পরিবারের সম্পর্কে জানান। প্রসঙ্গত, শুধু মুম্বাই বা মহারাষ্ট্র নয়, কলকাতার সঙ্গেও যোগ হয়েছে বিডেনের। লা মার্টিনিয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে এই প্রেক্ষিতে। একইসঙ্গে চেন্নাইয়ে বসবাসকারী বিডেনদের কথাও জানা গেছে।