তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র, ইস্তফা দিতেই কর্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলা

তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র, ইস্তফা দিতেই কর্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলা

আসানসোল: বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এবার বৃহস্পতিবার আসানসোলের পুরো প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ 

বুধবার ইস্তফা দেওয়ার পর পূর্ব বর্ধমানের বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকে বসেন শুভেন্দু এবং জিতেন্দ্র সহ একাধিক জেলার বিধায়ক এবং তৃণমূল নেতারা। তাই প্রবল জল্পনার সৃষ্টি হয় যে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি হয়তো জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না৷ তবে আজ প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিকে যেতে চান না, এমনকি বিজেপিকে সমর্থন করেন না৷

জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী৷ গোটা হামলার পিছনে তৃণমূলকে দায়ী করেন জিতেন্দ্র৷ জানান, প্রশাসক পদ তেকে ইস্তফা দেওয়ার পর যেভাবে তাঁর বিধায়ক কার্যাচল পাণ্ডবেশ্বরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের একাংশ, ফলে তাঁর পক্ষে আর দল থাকা সম্ভব নয়৷ আর তার জেরে জেলা সভাপতি পদ-সদ তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷  

শুভেন্দু অধিকারী এবং ইস্তফা দুই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত ফিরহাদ হাকিমকেই কটাক্ষ করেন তিনি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্পষ্ট বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে আর বিড়াম্বনায় না ফেলার জন্যই এই ইস্তফা। যে বিষয়ে সমস্যা হয়েছে সেই বিষয়ে দেখার জন্য একজন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই রয়েছেন। কিন্তু চিঠি দেওয়ার পরেও সে বিষয় নিয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। তাই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি এমনটাই জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করার পরেও শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তাহলে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন কিনা এই প্রশ্ন করায় জিতেন্দ্র উত্তর দেন, তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেন‌ না, বিজেপিতে যেতেও চান না। তবে তিনি চান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই দলের বড় নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হোক শুভেন্দু অধিকারীকে এবং তাঁকে দলে রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক দলের পক্ষ থেকে। জিতেন্দ্রর মতে, এ রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরেই সবচেয়ে বড় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে দলে রাখতে গেলে যদি তৃণমূলকে কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তাই করা উচিত। এর পর আচমকা দল ছাড়ার ঘোষণা জিতেন্দ্র তিওয়ারির৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =