কোলাঘাট: তাঁর ফেসবুক পেজে উপচে পড়া ফলোয়ারস। সাহসী তিনি। পরিচিত ধারণার বাইরে গিয়ে সামাজিক বাধাকে তোয়াক্কা না করা এক স্বাধীন পথ চলায় বিশ্বাসী ঝিলিক পঞ্চায়েত মুখোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম প্রার্থী। কোলাঘাট ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম আমলহান্ডার প্রার্থী ঝিলিক। যেখানে গত মাসে পথশ্রী প্রকল্পে ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা হয়। উন্নয়নের পেরেক কতটা গভীর সেই হিসেবে না হয় পরে যাওয়া যাবে। বাম প্রার্থী ঝিলিক মুখোপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ, অনুন্নত পথে বদলের হাওয়া বইয়ে দেওয়া। যা তিনি করার সাহস দেখাচ্ছেন।
তাই তো রাজনীতির বিচারে মাত্র তিরিশ বছর বয়সে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর মতো ধকটা রাখলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করা ঝিলিক বেছে নিতেই পারতেন সৌখিন জীবন। কোলাঘাটে বড় হয়ে, একেবারেই গ্রাম্য উঠানে খেলে বেরোনা শৈশবই যে তাঁর আসল শিকড়, সেই অনুধাবন থেকেই ঝিলিক গ্রামবাংলা জীবনযাপনে ব্যক্তি ও আর্থিক স্বাধীতায় বিশ্বাসী। গ্রামের চিরাচরিত, পরিচিত নীতি পুলিশের শাসনের বাইরে গিয়ে ঝিলিক উঠানের বাইরে পা ফেলেছেন। মাত্র তিরিশ বছর বয়সেই পঞ্চায়েত ভোটের এক দায়িত্বশীল বাম প্রার্থী ঝিলিক মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের গরেই ঝিলিক বাম প্রার্থী হয়েছেন। লক্ষ্য গ্রামের উন্নয়নের থেকেই গ্রামের মানুষের মানসিকতার উন্নয়ন। আজ বিকেলকে ঝিলিক জানাচ্ছেন, পোশাকের ভিত্তিতে যে গ্রামে বা এলাকায় চরিত্রের বিচার করা হয়, সেই ধারণাকেই আগে তিনি বদলাতে চান।
দেশের বা বাংলার বিভিন্ন ইস্যুতে ঝিলিকের প্রতিবাদী বক্তব্য সাড়া ফেলে। ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয় মুখ ঝিলিক। তাঁর স্বাধীনচেতা পোস্ট নজর কাড়ার মতোই। কোলাঘাটে রূপনারায়ণের তীরে বড় হয়ে ওঠা ঝিলিক সেই নদীর জলে ভেসে যাওয়া গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করেন। নদীর পার ভাঙলে যে গ্রামগুলিতে জল ঢোকে, তছনছ হয় মাটির ঘর, সেই গ্রামের পাশে থাকার পদক্ষেপে বিশ্বাসী। ঝিলিকের কাছে পঞ্চায়েত ভোট সম্পূর্ণ সাদা-কালো ছবির মতো। যেখানে তিনি উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তের নিরাপত্তা নয়, গ্রামের গরিব মানুষ কেন গরিব সেই প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারে নেমেছেন।