jaishankar
নয়াদিল্লি: দেশের নাম বদল নিয়ে তরজা এখন তুঙ্গে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর স্বাক্ষরিত জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের কার্ড বিলি করার পর থেকেই দেশের নাম বদল নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷ তবে কি রাতারাতি বদলে ফেলা হবে দেশের নাম? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ তিনি এদিন বলেন, ‘ইন্ডিয়া’ মানেই ‘ভারত’। সংবিধানে তেমনটাই উল্লেখ করা রয়েছে। সেইসঙ্গে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে সংবিধান পড়ার অনুরোধ জানান তিনি। নাম বদল ইস্যুতে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরও। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া’র নাম পালটে দেশের নাম ‘ভারত’ করার হবে বলে যে আলোচনা চলছে, তা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমে বিরোধীদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা স্রেফ গুজব। আমি শুধু এটা জানি যে যাঁরা ভারত শব্দটায় আপত্তি জানাচ্ছেন, সেটার মধ্যে দিয়ে তাঁদের মানসিকতার প্রমাণ মিলছে।’’
এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়াই হল ভারত। এটা সংবিধানেই বলা রয়েছে। সবাইকে সেটা (সংবিধান) পড়তে অনুরোধ করব।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, যখন আপনি একটা মানসিকতা নিয়ে ভারত উচ্চারণ করেন, তখন তার সঙ্গে একটা উপলব্ধি, ধারণা এবং অর্থ জড়িয়ে থাকে। সেটাও আমাদের সংবিধানে ফুটে উঠেছে।’
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুরাগ দাবি করেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়া’-র নাম পালটে ‘ভারত’ করার জন্য বিশেষ প্রস্তাব আনা হবে বলে যে জল্পনা চলছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা পুরোটাই গুজব। ‘ভারত’ নামের ‘বিরোধিতা’ করার জন্য বিরোধী নেতাদেরও বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।