jadavpur university
কলকাতা: যাদবপুরের কাছে ছাত্র আন্দোলন বিষয়টি অতিপরিচিত৷ বারবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বিভিন্ন সময় দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্নায় বসতে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। ঘেরাও করা হয়েছে উপাচার্যকে৷ কিন্তু, এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি৷ ছত্ররা নয়, ধর্নায় বসলেন খোদ উপাচার্য৷ যা সম্ভবত যাদবপুরের ইতিহাসে প্রথম। বুধবার রাত থেকে ধর্নায় বসেছেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ৷ রয়েছেন ইসির কয়েকজন সদস্যও। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ এনে অরবিন্দ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা৷
বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই ইসির বৈঠক ডাকা হয়। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা এবং ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় বাদে বাকি অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করাই ছিল বৈঠকের লক্ষ্য। বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারাও। কিন্তু বৈঠক শুরু হতেই ক্রমাগত স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। টানা কয়েক ঘণ্টা এরকম চলতে থাকে৷ অতঃপর ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য, সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সায়েন্স-সহ আরও বেশ কয়েকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেবের দাবি, ইসির বৈঠকে পড়ুয়াদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন তাঁরা৷
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইসির যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি। ওই বৈঠকের পর আবার কবে ইসির বৈঠক ডাকা হবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। এর পর হঠাৎ করেই বুধবার বৈঠক ডাকা হয়। মনে করা হচ্ছে, আচমকা বৈঠক ডাকায় ক্ষেপে যান পড়ুয়ারা। বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান, আন্দোলন শুরু করে দেন ছাত্ররা। যার জেরেই ধর্নায় বসেন খোদ উপাচার্য।