যাদবপুরকাণ্ডে সৌরভের পর গ্রেফতার দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রও, জুড়তে পারে পকসো আইনের ধারা

যাদবপুরকাণ্ডে সৌরভের পর গ্রেফতার দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রও, জুড়তে পারে পকসো আইনের ধারা

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভ চৌধুরীর পর গ্রেফতার আরও দু’জন। নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভকে৷ এই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। রবিবারই ধৃত দুই ছাত্রকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ২২ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সিপির কথায়, ‘‘ইতিমধ্যে মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব বলেই আশা করছি।’’ 

রবিবার স্বপ্নদীপের বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। এই ঘটনাকে পকসো আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কমিশনের উপদেষ্টা। তাঁর কথায়, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। কারণ স্বপ্নদীপের বয়স ১৮ পেরয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। অনন্যা বলেন, ‘‘ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোনে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। ওর উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। যেহেতু ছেলেটির ১৮ বছর হয়নি। তাই পকসো আইনের অধীনে এই ঘটনার বিচার প্রয়োজন।’’ দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর৷ তা সত্বেও ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে কেন সিসি ক্যামেরা নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনন্যা। তাঁর কথায়, ‘‘যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম মান হচ্ছে, এখানে তা মানা হবে না কেন?’’ নাবালক হওয়ায় ওই পড়ুয়ার নাম যাতে আর উল্লেখ করা না হয়, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন অনন্যা। এর পরেই পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাদবপুরের ঘটনায় পকসো আইনের ধারা যুক্ত করা হতে পারে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 9 =