পৃথিবীর টান কাটিয়ে সূর্যের পথে আদিত্য-এল১, গন্তব্যে পৌঁছনোর অপেক্ষায় ইসরো

পৃথিবীর টান কাটিয়ে সূর্যের পথে আদিত্য-এল১, গন্তব্যে পৌঁছনোর অপেক্ষায় ইসরো

isro

বেঙ্গালুরু: পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটা সম্পন্ন৷ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে সূর্যের পথে ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১৷ পঞ্চম কক্ষপথ পরিবর্তন করে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের বাইরে‌ বেরিয়ে গেল‌ সে। গন্তব্য সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে থাকা ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল১ পয়েন্ট। সোমবার ভারতীয় সময় রাত ২টো নাগাদ পঞ্চম কক্ষপথ পরিবর্তন করে পৃথিবীর টান কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে আদিত্য-এল১। টুইট করে জানায় ইসরো৷ 

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের বাইরে আপাতত ট্রান্স ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্টে এই সৌরযানটিকে স্থাপন করেছে ইসরো। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের এল১ পয়েন্টে পৌঁছবে আদিত্য-এল১। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ১১০ দিন পর সৌরযানটিকে এল১-এর কাছাকাছি অন্য একটি কক্ষপথে পাঠানো হবে।

পৃথিবী থেকে দূরের কোনও মহাজাগতীয় বস্তুর দিকে এর আগেও মহাকাশযান পাঠিয়েছে ইসরো। এই নিয়ে পঞ্চমবার পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে তারা মহাকাশযানকে পাঠাতে সফল হল তারা৷ এর আগে চন্দ্রযান-৩কে সফল ভাবে গন্তব্যে পৌঁছন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। 

গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেয় আদিত্য-এল১। আদিত্য এল-১ এর গন্তব্য হল পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি থাকা ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। এই পয়েন্টে গিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যালান্স হয়ে যায়। এই অঞ্চলে যে কোনও স্পেসক্রাফট স্বল্প জ্বালানিতে দীর্ঘসময় স্থির হয়ে থাকতে পারে। ওই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে কাছ নিরীক্ষণ করাও সম্ভব। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ সরাসরি পড়বে না স্পেসক্রাফ্টে। ফলে সেটি সূর্যের দিকে যেমন এগিয়ে যাবে না, আবার পৃথিবীর দিকে পিছিয়েও আসবে না। সূর্যের তেজও কোনও ক্ষতি করতে পারবে না৷ ল্যাগরেজ পয়েন্টে স্থির হয়েই সূর্যের ছবি তুলবে সে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =