isro
চেন্নাই: চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের আশায় তখন প্রহর গুনছে গোটা দেশ৷ সেই টানটান উত্তেজনার মুহূর্তে কাউন্টডাউন করেছিলেন তিনি৷ আবার চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের সেই রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে তাঁর কন্ঠেই মিলেছিল যাবতীয় খবর৷ প্রয়াত হলেন সেই ঘোষিকা তথা ইসরোর বিজ্ঞানী এন ভালারমতি৷ শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর৷
২৩ অগাস্ট ল্যান্ডার বিক্রমের গতি কমিয়ে পাখির পালকের মতো চাঁদের পিঠে অবতরণ (সফ্টশ ল্যান্ডিং), চন্দ্রযানের যাবতীয় গতিবিধি গোটা বিশ্বকে জানিয়ে চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন ভালারমতি। ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত প্রায় প্রতি মাসেই ইসরোর তরফে কোনও না কোনও রকেট লঞ করা হয়েছে৷ যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে টিভি, ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। কোটি কোটি মানুষ উৎক্ষেপণের সাক্ষী থেকেছে৷ সেই গর্বের ‘স্বর’ ছিলেন ভালারমাতির।
জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ইসরোর এই বিজ্ঞানীর। ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘শ্রীহরিকোটায় ইসরোর পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, তখন আর ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”
১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্ম হয় ভালারমতির৷ ১৯৮৪ সালে তিনি যোগ দেন ইসরোতে। ২০১২ সালে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট (রিস)-কে সফল ভাবে উপগ্রহে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেই অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ভালারমতি। এ ছাড়াও ইসরোর একাধিক অভিযানে ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তামিলনাড়ু সরকার তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে৷