শ্রীহরিকোটার পর দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর গড়ছে ইসরো, কিন্তু কেন?

শ্রীহরিকোটার পর দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর গড়ছে ইসরো, কিন্তু কেন?

isro

নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছুঁতেই ইসরোর মুকুটে জুড়েছে সাফল্যের পালক৷ এর পর আজ, অর্থাৎ শনিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে সূর্যের পথে পাড়ি দেয় দেশের প্রথম সৌরযান৷ আরও এক মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকে গোটা দেশ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ করা হয়৷ বর্তমানে দেশে একটি মাত্রই মহাকাশ বন্দর রয়েছে ইসরোর৷ ২০০২ সালে ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামে এই মহাকাশ বন্দরের নামকরণ করা হয়। নাম হয় সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র (এসডিএসসি)।

বর্তমানে এই মহাকাশ বন্দরে রয়েছে দু’টি কার্যকরী লঞ্চ প্যাড৷ যা রকেট, মহাকাশযান, পোলার এবং জিওসিঙ্ক্রোনাস উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইসরোর চন্দ্রযান-১, চন্দ্রযান-২, চন্দ্রযান-৩, মঙ্গলযান থেকে আদিত্য-এল১, সব কটিই এই মহাকাশ বন্দর থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের উপর চাপ কমাতে চাইছে ইসরো৷ সেই উদ্দেশেই আরও একটি মহাকাশ বন্দর তৈরি করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷

দেশে দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দরটি গড়ে উঠছে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলার কুলশেখরপট্টিনামে। দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও প্রায় শেষের পথে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দরটি শ্রীহরিকোটার চেয়েও বড় এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হবে৷ এর জন্য ২,৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে৷ এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীহরিকোটার মহাকাশ বন্দরে দু’টি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। তবে কুলশেখরপট্টিনামে আপাতত একটি লঞ্চপ্যাড গড়ে তোলা হবে। কিন্তু কেন দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দরের প্রয়োজন পড়ল ইসরোর?

শ্রীহরিকোটা ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি)’-এর মতো ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য উপযুক্ত। সেখান থেকে ছোট রকেট উৎক্ষেপণ করতে গেলে অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়৷ ‘স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএসএলভি)’ তুলনামূলক ভাবে ছোট রকেট। সাধারণত ৫০০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি ওজনের উপগ্রহকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পাঠানোর জন্য এই রকেট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, ইসরো এমন একটি জায়গা খুঁজছিল, যেখান থেকে উৎক্ষেপণ করা হলে শ্রীলঙ্কার উপর দিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না৷ বরং ছোট রকেটগুলি সরলরেখা বরাবর উড়ে যেতে পারবে। ঘুরপথের জ্বালানিও বাঁচবে৷ কুলশেখরপট্টিনাম তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় সেখান থেকে ছোট রকেট উৎক্ষেপণ সহজ হবে৷ এতে জ্বালানি বাঁচাতে পারে এবং দক্ষিণ দিক বরাবর সোজা পথে উড়ে যেতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 5 =