Heat Outside
বেঙ্গালুরু: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটি আঁকড়ে কাজ করতেও শুরু করে দিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান৷ ইতিমধ্যেই বিক্রমের পাঠানো বেশ কয়েকটি ছবি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷ রবিবার ইসরো জানাল, এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রার রেকর্ড পাঠাতে শুরু করেছে তারা। চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরে এবং নীচে বিভিন্ন গভীরতায় তাপমাত্রার হেরফের ঘটছে। সেই গ্রাফও পাঠিয়েছে ইসরো। তাতে দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটির মাত্র ২০ মিলিমিটার গভীরে তাপমাত্রা অনেকটা বাংলার শরৎকালের মত। ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে পারদ ওঠানামা করছে। (Heat Outside)
Heat Outside
গত বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই কাজ শুরু করেছে বিক্রম। জোরকদমে চলছে পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ। গুটি গুটি পায়ে হেঁটে চলে বেরাচ্ছে প্রজ্ঞান। সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিক্রমের ভিতরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশও৷ তবে বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে অন্যতম হল চাস্তে। চাঁদের মাটি ফুঁড়ে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত গভীরে পৌঁছনোর ক্ষমতা রয়েছে এই যন্ত্রের। একই সঙ্গে চাঁদের মাটির উপরের এবং গভীরের তাপমাত্রা মাপার কাজও করছে এই চাস্তে। আপাতত চাঁদের মাটি ভেদ করে ৮০ মিলিমিটার গভীরে পৌঁছতে পেরেছে এই যন্ত্র। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের তাপমাত্রা রেকর্ড করে নিয়েছে সে। সেই তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে বিক্রম৷ একটি গ্রাফের মাধ্যমে চাঁদের তাপমাত্রার গ্রাফ প্রকাশ করেছে ইসরো। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ‘‘এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রার স্পষ্ট একটি গ্রাফ পাওয়া গেল।’’
বিক্রম জানিয়েছে, চাঁদের ‘কুমেরু’ কিন্তু বেশ উত্তপ্ত৷ দিনের বেলার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি৷ যদিও এই ‘দিন’ পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিনের সমান৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যোদয় থেক সূর্যাস্ত হতে পৃথিবীর হিসাব অনুযায়ী সময় লাগে ১৪ দিন। আবার সূর্য অস্ত গেলে যে রাত নামবে, সেটিও পৃথিবীর হিসাব অনুযায়ী ১৪ দিনের সমান। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই রাত অত্যন্ত ভয়ঙ্কর৷ সেই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা নামে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত৷ তবে সূর্যের তাপ গায়ে লাগলে, চন্দ্রপৃষ্ঠের এই অংশের ৩০ মিলিমিটার গভীরে গেলেও তাপমাত্রা থাকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের আশেপাশেই৷