isro
নয়াদিল্লি: চাঁদের বাড়ি ঘুরে সূয্যিমামার ঘরে উঁকি দিতে আকাশে উড়ে গিয়েছে ইসরোর মহাকাশযান৷ চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য সারা দুনিয়ার নজর কেড়েছে। সাফল্যের দোরগোড়ায় সূর্য অভিযানও। একের পর এক সাফল্য ঝুলিতে এলেও লক্ষ্যে অবিচল ইসরো৷ চন্দ্রাভিযান ও সূর্যাভিযানের পর নতুন মিশন-এর লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা৷ এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ৷ কিন্তু, এবার গন্তব্য কোথায়? দিল্লির ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি থেকে ইসরো প্রধান জানালেন, এবার তাঁদের লক্ষ্য পড়শি গ্রহ শুক্র৷ শুরু হবে তাঁদের ‘ভেনাস মিশন’৷ ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এবার শুক্র অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ হল শুক্র৷ যা সকলের কাছে শুকতারা নামেও পরিচিত৷ এবার সেই শুকতারায় পৌঁছতে চায় ইসরো। সোমনাথ এও জানান, শুক্র অভিযানে যে পে-লোডগুলি ব্যবহার করা হবে, সেগুলি ইতিমধ্যেই তৈরিও হয়ে গিয়েছে।
সৌর পরিবারে গ্রহহদের অবস্থানের নিরিখে সূর্যের সব থেকে কাছে রয়েছে বুধ৷ তারপরেই শুক্র৷ ইসরো প্রধানের কথায়, মিশন শুক্রের মূল লক্ষ্যই হবে এই উজ্জ্বল গ্রহের মাটি ও বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করা। শুক্রের বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত ভারী এবং তা অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। শুক্রের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাই এই গ্রহে অভিযান চালানো মোটেও সহজ বিষয় নয়। তবে সেই চ্য়ালেঞ্জ গ্রহণ করেই এগিয়ে যেতে চান ইসরোর বিজ্ঞানীরা৷
এস সোমনাথ আরও বলেন, “একাধিক অভিযানের পরিকল্পনা এখন ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। তবে শুক্র অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত৷ যাবতীয় পরিকল্পনা সারা। এর পে-লোডগুলিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুক্র নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই। ওই গ্রহেও বায়ুমণ্ডল রয়েছে৷ তবে তা অত্যন্ত ভারী। পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ গুণ ভারী শুক্রের বাতাস। আমরা এখনও জানি না শুক্রের মাটি খোঁড়া সম্ভব হবে কি না। তবে একদিন পৃথিবীর অবস্থাও শুক্রের মতো হয়ে যেতে পারে। এখনই হবে তেমনটা নয়, তবে ১০ হাজার বছর বাদে বদলে যেতে পারে আমাদের পৃথিবী। এক সময় এই পৃথিবীও বসবাসযোগ্য ছিল না। তাই শুক্রের বায়ুমণ্ডল ও মাটি পর্যবেক্ষণ করা বেশ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।”