বার্লিন: ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি তথ্যে দেখা গিয়েছে, ইয়রোপের প্রত্যেক দেশেই বর্তমানে নতুন করে করোনা সংক্রমণ মাত্রা বেড়ে চলেছে। গত ১৪ দিনে ইউরোপের মোট ৫টি দেশে প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২০ জন। সেই তালিকায় আগের মতোই প্রথমে উঠে এসেছে স্পেনের নাম। পিছিয়ে নেই ফ্রান্স, চেকোস্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়াও। কিন্তু এবার লকডাউন হলেও অর্থনীতিকে বাঁচাতে নতুন পদ্ধতি নেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মাদ্রিদ অঞ্চলের রাষ্ট্রপতি ইসাবেল আয়াস দিয়াসো’র সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই আগামী দিনে ফের লকডাউন নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে তাঁদের৷ করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যেই এই দেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধীদের অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হয়েছে স্পেন সরকার। বিরোধীদের কথায়, সরকার লকডাউন নিয়ে বৈষম্য করছে। তাঁরা জানিয়েছেন, দেশের গরিব অঞ্চল থেকে লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এদিকে তুলনামূলক ধনী অঞ্চলের ক্ষেত্রে লকডাউনের তেমন বহর নেই।
অন্যদিকে, চেক সাধারণতন্ত্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম ভজটেক দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন সোমবার। প্রথমে এখানে সংক্রমণ মাত্রা তেমন না বাড়লেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। বর্তমানে এই দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ২৯০ জন, যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫০৩ জনের। পিছিয়ে নেই পোল্যান্ডও, গত শনিবার ও সোমবার এই দেশের সংক্রমণ সংখ্যা যথাক্রমে ১০০৩ এবং ৭৫০ জন। সোমবার ব্রিটেনের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস উইটি এবং চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী শীতে দেশে সংক্রমণ মাত্রা ব্যপক আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশে লঘু মাত্রায় কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছেন।
পাশাপাশি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে নতুন নতুন করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ফ্রান্সে ভয়াবহতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রতিদিন দেশে ১৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই দেশে মোট ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, গোটা ইউরোপে যা সর্বাধিক। পাশাপাশি জার্মানিতে ইতিমধ্যেই নতুন নিয়ম লাগু হয়েছে। মিউনিখে অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সোমবার থেকে। পাশাপাশি জমায়েত বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।