firhad hakim
কলকাতা: একই সঙ্গে মেয়র এবং মন্ত্রী পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম৷ কী ভাবে একই ব্যক্তি একসঙ্গে দু’ভাবে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন? এবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ জবাব তলব করে নবান্নে চিঠিও পাঠালেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সরগরম পরিস্থিতির মধ্যেই রাজভবনের অন্দরে কলকাতা পুলিশের নজরদারির অভিযোগ তুলে নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আগুনে ঘি ঢেলেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন থেকে রাজ্যপুলিশ সরিয়ে নিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এ বার ফিরহাদ হাকিমের মতো শাসকদলের প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধে তেড়েফুড়ে উঠলেন বোস। তাঁর প্রশ্ন, ফিরহাদ কি দু’টি পদে বসে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ তবে এখনও নবান্ন থেকে কোনও জবাব আসেনি। এড়িয়ে গিয়েছেন ফিরহাদ নিজেও৷
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে বসেন ববি হাকিম। সেই সময় রাজ্যের পুরমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন তিনি। ২০১১ সাল থেকেই তাঁকে এই দফতরের দায়িত্বে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদের পদ নিয়ে যখন রাজ্যপাল সোচ্চার, তখন দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তিনি৷ তবে দিল্লি যাওয়ার আগে ফিরহাদ বলে গিয়েছেন, ‘‘আমি রাজ্যপালের কোনও বক্তব্যে পাল্টা মন্তব্য করতে চাই না। এর আগে জগদীপ ধনকড়ও একই ভাবে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাই আমি কী ভাবে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে রয়েছি তা আমার মুখ্যমন্ত্রী জানলেই হবে, রাজ্যপাল না জানলেও চলবে।’’