শরদের ইচ্ছাতেই কি বিজেপি’তে অজিত? ‘পাওয়ার’ পেলেও ভোটবাক্স নিয়ে উদ্বেগে গেরুয়া শিবির!

শরদের ইচ্ছাতেই কি বিজেপি’তে অজিত? ‘পাওয়ার’ পেলেও ভোটবাক্স নিয়ে উদ্বেগে গেরুয়া শিবির!

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:  মারাঠা ‘স্ট্রংম্যান’ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের স্ত্রী অসুস্থ হয়েছেন খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে গিয়েছেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। যে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। যদিও অজিত শিবিরের দাবি কাকিমাকে মায়ের মতোই সম্মান করেন অজিত। তাই তিনি অসুস্থ হয়েছেন খবর পেয়েই দেখা করতে ছুটে গিয়েছেন ভাইপো তথা বিদ্রোহী শিবিরের প্রধান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। জানা গিয়েছে অজিত শিবিরের বিধায়করা শরদের কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁদের নিয়ে যেন কঠোর অবস্থান তিনি না নেন। কেন এই আবেদন? আসলে বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়া অজিত শিবিরের বিধায়কদের আশঙ্কা আগামী দিনে তাঁদের বিধায়ক পদ আগামী দিনে খারিজ হয়ে যাবে না তো। সেই কারণেই কি অজিতের এই উদ্যোগ? কিন্তু এটা তো অজিতের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করার বিষয়। আসল প্রশ্ন হল শরদ পাওয়ার নিজে ঠিক কি চাইছেন?  রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে শরদের ইশারাতেই অজিত পাওয়ার শিবির বদল করে বিজেপি সরকারে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই প্রশ্ন শরদকে নিয়ে উঠছে কেন? রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন কর্নাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর যথেষ্ট অক্সিজেন পেয়েছে হাত শিবির। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী জোট তৈরি হবে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  কারণ কয়েক মাসের মধ্যে যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে সেখানে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে আশাবাদী রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। সেই জায়গা থেকে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে শরদ পিছিয়ে পড়ছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। শুধু তাই নয়, শরদের পাশাপাশি অজিতের বিরুদ্ধে একাধিক কেস রয়েছে, যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে পারেন তাঁরা। তাই বিজেপিকে খুশি করতেই কী শরদের ইশারায় অজিতের এই ভোলবদল হয়েছে? এই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই শরদের স্ত্রী অসুস্থ হয়েছেন খবর পেয়েই অজিত যেভাবে সেখানে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন কাকার সঙ্গে, তাতে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অজিত বিজেপির পাশে থাকলেও তাতে লোকসভা নির্বাচনে কতটা লাভ হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত বিজেপি। সব মিলিয়ে আগামী দিনের মহারাষ্ট্র রাজনীতি কোন খাতে বইবে সেটা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 7 =