বাগদাদ: চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রথম এমন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল! তিনটি পুরুষাঙ্গ বিশিষ্ট শিশুর খোঁজ মিলল ইরাকে৷ এহেন বিরল ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকরা৷ শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসক মহলে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চিকিৎসক শাকির সেলিম জাবালি এক আন্তর্জাতিক শল্যচিকিৎসা জার্নালে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন৷
সম্প্রতি ইরাকের বাগদাদের দুহকে জন্মেছে শিশুটি৷ জন্মের পর তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। কিন্তু শিশুটির যখন তিন মাস বয়স, তখন থেকে সমস্যা শুরু হয়৷ শিশুটির বাবা-মা দেখেন, পুরুষাঙ্গ ফুলে উঠতে শুরু করেছে৷ শিশুটির বাবা-মা তাকে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান৷ গোটা বিষয়টি তখনই বুঝতে পারেন এক চিকিৎসক৷ যদিও চিকিৎসা জীবনে এমন ঘটনা তিনি আগে কখনও দেখেননি৷ এরপরই আরও চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি৷
চিকিৎসকরা জানান, তিনটি পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মেছে সে। এর মধ্যে একটি স্বাভাবিক। অন্য দু’টির একটি স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের ঠিক পাশ দিয়ে গজিয়ে উঠেছিল এবং অপরটি অস্বাভাবিকভাবে অণ্ডকোষের নীচ থেকে তৈরি হয়েছিল । বাকি দু’টি লিঙ্গের গোড়াতেই মূত্রনালি নেই৷ তার মানে সম্পূর্ণ কার্য ক্ষমতাহীন৷ এরপর বাকি দু’টি লিঙ্গ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা৷ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং সুস্থ রয়েছে চার মাসের শিশুটি৷
ইরাকের চিকিৎসক শাকির সেলিম জাবালি বিষয়টিকে বিরল ঘটনা বলে জানিয়েছেন৷ এই ঘটনাটি একটি আন্তর্জাতিক শল্য চিকিৎসা জার্নালে লিখেছেন তিনি৷ তিনি লেখেন, সম্ভবত গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ থাকাকালীন কোনও ওষুধের প্রভাবে এমনটা ঘটেছে৷ তবে জিনগত কারণের সম্ভাবনা খারিজ করেছেন তিনি৷ পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে পরিবারের সদস্যদের এমন কোনও ত্রুটি নেই৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ভারতে আরও এক শিশু তিনটি পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মেছিল। একবছর পর জানা যায়, শিশুটি সুস্থ-স্বাভাবিক রয়েছে৷ তাই সেটির উল্লেখ নেই কোনও মেডিক্যাল জার্নালে ৷ তাই ইরাকের ঘটনাটিই বিশ্বে প্রথম রিপোর্টেড ঘটনা৷ সেই কারণেই এটিই প্রথম এমন বিরল ঘটনা বলে ধরছেন চিকিৎসকরা৷