কলকাতা: কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডে রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের সিবিআই শমনকে ঘিরে জারি তরজা। দিন পাঁচেক আগেই ৩ আইপিএস অফিসার সহ রাজ্যের মোট ৬ জন পুলিশ আধিকারিককে গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই শমনকে চ্যালেঞ্জ করে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইপিএস অফিসাররা।
সূত্রের খবর, সিবিআই শমনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন ডিআইজি কল্লোল গণাই এবং একই জেলার প্রাক্তন অ্যাডিশনাল এসপি অংশুমান সাহা। গোরু পাচার কাণ্ডে এই দুজন অফিসারের নাম জড়িয়েছিল। আইপিসির (IPC) ১৬০ ধারা অনুযায়ী তাঁদের শমন পাঠিয়েছিল সিবিআই, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আচরণের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিযোগ দাখিল করেছেন কল্লোল গণাই এবং অংশুমান সাহা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ভিন্ন সিবিআই রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের এভাবে ডেকে পাঠাতে পারে না। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের এই শমনকে খারিজ করে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন ওই ২ অফিসার।
কল্লোল গণাই এবং অংশুমান সাহার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই মামলায় বিচারকের আসনে থাকবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে কয়লা এবং গোরু পাচারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বেশ তৎপর হয়েছে সিবিআই। কয়েক দিন আগেই রাজ্য পুলিশের ৬ জন হেভিওয়েট কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁরা ডেকে পাঠিয়েছিল। কল্লোল গণাই এবং অংশুমান সাহা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন হুগলির পুলিশ সুপার তথাগত বসু। কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন রাজ্যের একাধিক পুলিশ অফিসারের নাম তাঁদের সামনে উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে একাধিক সাক্ষীর বয়ানও রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।