post office savings scheme
কলকাতা: যাঁরা ক্ষুদ্র প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান তাঁদের জন্য পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পগুলি হতে পারে চমৎকার। এখানে ঝুঁকি ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদে প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মিলবে নিশ্চিত রিটার্ন। তাছাড়া যাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেই সব বিনিয়োগকারীদের জন্য এগুলি আরও ভাল বিকল্প হতে পারে। যেমন, পোস্ট অফিস আরডি (RD)। এই স্কিমে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়।
পোস্ট অফিস RD: এই ধরনের ডিপোজিটের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তিতে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাসিক কিস্তি দিয়ে যেতে হয় গ্রাহককে। পরবর্তীতে সম্পূর্ণ অর্থ সুদ-সহ রিটার্ন পাওয়া যায়। আপনি ন্যূনতম ১০০ টাকার রেকারিং ডিপোজিট করতে পারেন। এরপর চাইলে 10-এর গুণিতকে যে কোনও সংখ্যায় ওই বিনিয়োগ করা যেতে পারে৷ কেউ যদি পোস্ট অফিস RD-তে মাসিক ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে পাঁচ বছর পর ম্যাচিউরিটির উপর আমানতকারী ৩,৫৬,৮৩০ টাকা পাবেন।
এক্ষেত্রে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩ লক্ষ টাকা৷ এর উপর ৫৬,৮৩০ টাকার গ্যারান্টিযুক্ত সুদ পাবেন। PORD অ্যাকাউন্টটি পাঁচ বছর পর ম্যাচিউর হয়ে যাবে৷ চাইলে পরবর্তী ৫ বছরের জন্যও মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। কেউ যদি ১০ বছরের জন্য RD করেন, তাহলে মোট মিলবে ৮,৫৪,২৭২ টাকা। এর থেকে সুদ বাবদ ২,৫৪,২৭২ টাকা নিশ্চিত আয় হবে।
বলে রাখি, পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে কোনও ঝুঁকি নেই। পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলির উপর গ্যারান্টি রয়েছে। কারণ এই টাকা সরাসরি সরকার নিয়ে থাকে। ফলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে।
৩ বছর পর প্রি-ম্যাচিউর ক্লোজার সুবিধায় ১০০ টাকায় যে কোনও পোস্ট অফিসের শাখায় আরডি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। একক ভাবে নয়, যৌথ অ্যাকাউন্ট এমনকি ৩ জন মিলিত ভাবেও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে৷
অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাঁর অভিভাবকরা অ্যাকাউন্ট খিলতে পারেন। পোস্ট অফিস RD অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ৫ বছরের হলেও প্রি-ম্যাচিউর ক্লোজার ৩ বছর পরে করা যেতেই পারে। পোস্ট অফিসে আরডি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে লোনও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে ১২টি কিস্তি জমা দেওয়ার পর, অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোন নেওয়া যেতে পারে।