কলকাতা: দেশে করোনা অতিমারীর প্রকোপ কমলেও কিছু কিছু রাজ্যে বেড়েছে সংক্রমণের হার। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৫ রাজ্যে চলতি বছরে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর করোনা ভাইরাসের নতুনভাবে সংক্রমণের দিকে নজর রেখে নির্বাচনে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচার ও নির্বাচনের কার্যকরের জন্য কয়েকটি নির্দেশনামা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ এবার দেখে নেওয়া যাক, কী কী নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন:
(১) নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করা যাবে রোড-শো। তবে সেক্ষেত্রে পাঁচটি গাড়ির পর কনভয়ে ফাঁক রাখতে হবে।
(২) বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে পাঁচজনের বেশি প্রচারক বাড়িতে যেতে পারবেন না।
(৩) মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন থাকতে পারবেন এবং দুটি গাড়িই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
(৪) প্রতি বুথে সর্বোচ্চ ভোটার সংখ্যা হবে ১০০০ এবং সব বুথ আবশ্যিকভাবে হবে নীচের তলে।
(৫) বিহার মডেলকে সামনে রেখে এবার পশ্চিমবঙ্গ সহ চার অঙ্গরাজ্য এবং পুদুচেরির নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভোটদানের সময়সীমা ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
(৬) পশ্চিমবঙ্গে একজন সাধারণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়েছে৷ আরও ২ জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে৷ যাদের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য বিএসএফের হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে৷
(৭) চিহ্নিত করা হয়েছে সমস্ত স্পর্শকাতর বুথগুলি, যেখানে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হবে৷ যে কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এবং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়কারী অফিসার। এই কমিটি নির্বাচনের সুরক্ষা পরিকল্পনাও তৈরি করবে। তবে রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবেন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং জেলায় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সাধারণ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষকের অনুমোদন লাগবে। এছাড়াও সব স্পর্শকাতর বুথে থাকবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা।
(৮) অতি প্রবীণ ভোটার অর্থাৎ, যাদের বয়স ৮০-র বেশি এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
(৯) কোভিড আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য পৃথক নির্দেশিকা জারি হয়েছে।