পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলা। মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহার ঘিরে এরমধ্যেই দফায় দফায় অশান্তি, হানাহানি দেখে ফেলেছে রাজ্যবাসী। চলছে বাহিনী নিয়ে তরজা। সেই রকম এক সময়ে দাঁড়িয়ে ‘ভালবাসার দোকান’ খুললেন কংগ্রেস প্রার্থী। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের শানু পাড়ায় খোঁজ মিলবে দোকানের। তবে এই দোকান অবশ্য জিনিস কেনা বেচার তাগিদে নয় এখানে বিনিময় করা হবে ভাব ভালোবাসা। নামের সঙ্গে দোকান জুড়লেও এটি হল আসলে নির্বাচনী বুথের নাম। কংগ্রেস প্রার্থী গনেশ ঘোষ তাঁর নির্বাচনী বুথটির নাম রেখেছেন “ভালোবাসার দোকান”। কিন্তু কেন এমন ভাবনা?
ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন ”ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছে কংগ্রেস।” শীর্ষনেতার সেই বার্তাকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত দখলের ময়দানে নেমেছেন কংগ্রেস প্রার্থী গনেশ ঘোষ। অহিংসাকে হাতিয়ার করে ভোট ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। নির্বাচনে কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, বরং এলাকার মানুষকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা। অশান্তির বাতারণে জোট প্রার্থী গনেশবাবুর এমন অভিনব প্রচার সাড়া ফেলেছে জলপাইগুড়ি জুড়ে। ভালবাসার দোকানে এখন নিয়মিত আড্ডা জমাচ্ছেন এলাকার লোকজন।সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে এখান থেকে।
ভোটের মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট প্রচারে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু, গনেশ ঘোষ এসবের বাইরে গিয়ে পরিবেশ সচেতনতা,অহিংসার কথা বলছেন। অভিনব প্রচার কৌশল মন কেড়েছে স্থানীয়দের। তবে স্থানীয়রা যাই বলুক না কেন, জোটপ্রার্থীর প্রচারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃনমূল নেত্রী রূম্পা রায়ের কথায়, এইসব চমক ছাড়া আর কিছু নয়। সিপিএম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীর এই উদ্যোগে আদতে কোনও লাভ হবেনা বলেই মত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তাদের দাবি, এলাকা জুড়ে ঢালাও উন্নয়ন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কাজেই জোট ঘোট করে যতই ভোটে লড়ুক সিপিএম-কংগ্রেস, শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল।