সাক্ষীদের বয়ান থেকে শাহজাহানের ভাই আলমগীর সম্পর্কে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাক্ষীদের বয়ান থেকে শাহজাহানের ভাই আলমগীর সম্পর্কে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধু একা শেখ শাহজাহান নয়, তাঁর ভাই শেখ আলমগীরের বিরুদ্ধেও বহু অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সন্দেশখালি নিয়ে নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আলমগীর বহু তথ্য সামনে এল। সরকারি টাকা নয়ছয়ের পাশাপাশি মহিলাদের যৌন হেনস্থা করেছেন সন্দেশখালি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ও তাঁর অন্যতম সঙ্গী শিবপ্রসাদ হাজরা। এমনটাই অভিযোগ ইডির। সন্দেশখালিতে ভেড়ি দখল, ভয় ভীতি  প্রদর্শন-সহ অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডি  আধিকারিকরা।

স্থানীয়রা এমনই বয়ান দিয়েছেন ইডি   আধিকারিকদের কাছে। এরপরই  ইডির বিশেষ আদালতে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতে সাক্ষীদের নাম অবশ্য প্রকাশ করেনি ইডি। আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেছেন, জোর করে জমি দখল করা হয়েছে সন্দেশখালিতে। সেই টাকা পাচার হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই সূত্রে শাহজাহানের সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে আলমগীর, শিবপ্রসাদ হাজরা এবং দিদার বক্স মোল্লার অ্যাকাউন্টে। ইডি দাবি করেছে কিছুদিন আগে সন্দেশখালির এক বাসিন্দা তাদের জানিয়েছেন যে, আলমগীর এবং শিবু সরকারি টাকা নয়ছয় করেছেন। মহিলা কর্মীদের যৌন হেনস্থাও করতেন তাঁরা। ওই অভিযোগকারী আরও বলেছেন, আলমগীর সব সময় নাকি বন্দুক নিয়ে ঘুরতেন। লোকজনকে হুমকি দিতেন। অন্য এক ব্যক্তি ইডির কাছে বয়ান দিতে গিয়ে একই দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, আলমগীরের পকেটে নাকি পিস্তল থাকত। শাহজাহানের নাম করে ভয় দেখিয়ে জমিও কেড়ে নেওয়া হতো।

এমনকী আলমগীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও করেছেন ওই বাসিন্দা। সন্দেশখালির আরও এক বাসিন্দা ইডি আধিকারিকদের কাছে আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগও করেছেন। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি তোলাবাজি ও ডাকাতি তিনি করতেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সন্দেশখালির বাসিন্দারা এ সমস্ত কথা জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকদের কাছে। সেই সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে পেশ করেছে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর। এর আগে গত ১২  মার্চ এক ব্যক্তির থেকে নেওয়া বয়ানও পেশ করা হয়েছে আদালতে। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, জমি হাতানোয় শাহজাহানের সঙ্গী ছিলেন আলমগীর। এখানেই শেষ নয়, আরও বহু অভিযোগ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা, যা জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। ইডি আরও এক ব্যক্তির বয়ানের ভিত্তিতে আদালতে জানিয়েছে, নিরীহ মানুষের থেকে জমি ছিনিয়ে নিয়ে পোলট্রি খামার চালাতেন আলমগীর এবং শিবু।

ইডির দাবি শাহজাহানের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা এস কে সাবিনা, সাবিনা ফিশারিজ থেকে ২ কোটি ১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন আলমগীর। টাকা পেয়েছেন দিদার এবং শিবুও। মাছ সরবরাহের নামে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও মাছ সরবরাহ করা হয়নি। এমনই  চাঞ্চল্যকর দাবি করছে ইডি।