কলকাতা: কত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস টানা সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক ইস্যু নিয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ এর পাশাপাশি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খতিয়ান তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য মন্ত্রীরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও একদিকে যেমন বিজেপিকে আক্রমণ করলেন, অন্যদিকে বাংলার শাসকদলের উন্নয়ন ব্যাখ্যা করলেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ইন্দ্রনীল মন্তব্য করেন, বিজেপি দলের সঙ্গে বাংলার কোনো আত্মিক যোগাযোগ নেই। তারা পশ্চিমবাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গুরুত্ব কিছুই বোঝে না, জানে না। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলার মানুষের ১০০ শতাংশ আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, শুধু সব বিষয় রাজনীতি করলেই হয় না, মানুষের সঙ্গে সার্বিক সম্পর্ক রাখতে হয়, যেটা তৃণমূল কংগ্রেস রেখেছে। ইন্দ্রনীলের কথায়, হয়তো বিজেপির দু’ একজন নেতার সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ থাকতে পারে, তাদের তিনি ব্যক্তিগত সম্মান জানান। কিন্তু, ৯৯ শতাংশ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বাংলার কোনো আত্মিক যোগাযোগ নেই। তিনি দাবি করেছেন, বাংলার প্রত্যেকটি মানুষ এ ব্যাপারে জানেন, এমনকি যারা ভোটার নয়, যাদের বয়স এখনো আঠারো হয়নি, তারাও জানি বিজেপির নেতা বা মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলার কোন রকম নিবীড়তা, আত্মিক যোগাযোগ, ঘনিষ্ঠতা কিছুই নেই।
এই পরিপেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ৯ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। তিনি এ ব্যাপারে শিল্পী হিসেবে গর্ববোধ করেন। ইন্দ্রনীলের বিশ্বাস, আগামী দিনে আরো সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এগিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্দ্রনীলের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছিলেন বাংলাকে সাংস্কৃতিক হাব তৈরি করতে, এই বিগত বছরগুলোতে তিনি সেটা সাফল্যের সঙ্গে করে গেছেন। বাংলাকে বিশ্ব বাংলায় পরিণত করার কাজ তিনি আগামী দিনেও করবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ, এমনই দাবি তাঁর। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ তুমিও কথা বলেন ইন্দ্রনীল সেন। এই প্রকল্প শুরু হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।