ভারতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বড় ঘোষণা মোদীর ‘ফ্যান’বয় ইলন মাস্কের!

ভারতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বড় ঘোষণা মোদীর ‘ফ্যান’বয় ইলন মাস্কের!

3 stocks recomended

আমেরিকা জুড়ে মোদী মোদী রব। মার্কিন মুলুকে পা রাখতেই যেন ইতিহাস তৈরি করলেন নমো। ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি আমেরিকা কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দ্বিতীয়বার বক্তৃতা দেবেন। তাঁর তিনদিনের সফরকে ঘিরে উন্মাদনায় ফুটছে আমেরিকা। ৩ দিনের সফরকালে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে সফরের সূচনা লগ্নেই এল সুখবর! টুইটার কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না জানানো হলেও, মুখ খুলেছেন মাস্ক। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি ভারতের ‘সম্ভাবনা’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘উদ্যোগে’র ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানান, মোদীর গুণমুগ্ধ ভক্ত তিনি। ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎসাহী ইলন জানান, ”আমার মনে হয়, বিশ্বের অন্য়ান্য বড় দেশগুলির তুলনায় ভারতের ভবিষ্যৎ অনেক বেশি উজ্জ্বল। ভারতের অনেক কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে।”

তাহলে কি ভারতে বিনিয়োগ করতে চলেছে টেসলা? পরিকল্পনার কথা জানিয়ে টেসলা কর্তা বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের বিষয়ে সত্যিই অনেক চিন্তা করেন, সেই কারণেই উনি আমাদের ভারতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমরাও বিনিয়োগ করতে চাই। আমি আগামী বছর ভারত সফরে যাব।” ইলন মাস্ক ছাড়াও সফরকালে একাধিক স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মোদীর। ২২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠক ছাড়াও প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্টেট ডিনারে’ আমন্ত্রণও জানিয়ে রেখেছেন। এই সাক্ষাৎপর্বে অস্ত্র কেনা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। ভারতের আঙ্গে আমেরিকার এই বন্ধুত্ব দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে বেজিং। চিনা কূটনীতিক ওয়াং ই এই প্রসঙ্গে বলেন- চিনের ক্ষতি করতেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আসলে চিনকে রুখতে ভারতকে দেওয়াল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে জো বাইডেন প্রশাসন। তবে এই পরিকল্পনা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বে।  

  • কী পরিকল্পনা ইউএসের? 

একাংশের দাবি, ২০২৮ এর মধ্যেই জাপান ও জার্মানির জিডিপি-কে টেক্কা দেবে ভারত।  সেই কারণে, ভারতে নিজেদের অন্যতম ‘স্ট্রাটেজিক পার্টনার’ হিসেবে ভাবছে আমেরিকা।    

নয়াদিল্লির ভাবনা:  ‘ফ্রেনেমি’ যার অর্থ কেউ কারোর চির শত্রু বা বন্ধু নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী অবস্থান বদলায় মাত্র। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে পারস্পরিক সহযোগিতা হতে চলেছে মোদীর এবারের সফরের মূল আলোচ্য। শোনা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন তৈরিতে আগ্রহি আমেরিকা। ইউ এস-এর থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারে ৩১ টি অত্যাধুনিক এমকিউ-নাইন বি ড্রোন কেনার কথা ভারতের। 

সীমান্ত নিয়ে যখন চিন ও পাকিস্তানের উস্কানি অব্যাহত, সেই আবহে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমেরিকা-ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতা কৌশলগত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − eleven =