টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ১২০টি ভাষায় গান, বিশ্ব রেকর্ড ভারতীয় তরুণীর!

টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ১২০টি ভাষায় গান, বিশ্ব রেকর্ড ভারতীয় তরুণীর!

নয়াদিল্লি: ২০২০ কাটিয়ে নতুন বছর শুরু হতেই যেন পৃথিবীর বুক থেকে অতিমারীর আতঙ্ক কেটে গেছে অনেকটা। ভ্যাকসিনের আশ্বাসে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে ভাইরাসের মেঘ। নতুন নতুন সম্ভাবনায় ভরে উঠছে চারপাশ। সেই আবহেই এবার বিশ্বের দরবারে ফের উজ্জ্বল হল ভারতের মুখ।

একটানা প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা ধরে দেশ বিদেশের প্রায় ১২০টি ভাষায় গান গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন এক ভারতীয় কিশোরী, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। জানা গেছে ১৩ বছর বয়সী দুবাইনিবাসী ওই তরুণী গান গেয়ে জিতে নিয়েছেন ‘১০০ গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ (100 Global Child Prodigy Award)। এত কম বয়সে কিশোরীর এই সাফল্য রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বের মানুষকে।

জানা গেছে,আলোচ্য কিশোরীর নাম সুচেতা সতীশ। একসঙ্গে খুব বেশি হলে ১৫ থেকে ২০টি ভাষা জানতে পারেন মানুষ। ব্যতিক্রম যে একেবারেই নেই তা নয়, কিন্তু তাই বলে একসঙ্গে ১২০টি ভাষা রপ্ত করে তাতে গান গাওয়া নিঃসন্দেহে অভাবনীয়। সূত্রের খবরে জানা গেছে, শুধু মাত্র ১২০টি ভাষায় গান গাওয়াই নয়, শিশুশিল্পী হিসেবে একটানা ৬ ঘন্টা ধরে গেয়ে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে গান গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে সুচেতা।

আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর, দুবাইনিবাসী ভারতীয় কিশোরী সুচেতা সতীশ ইতিমধ্যেই সে দেশে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এমনকি তাঁর গানের একটি অ্যালবামও মুক্তি পেতে চলেছে দুবাইয়ে। এই অ্যালবামে বিভিন্ন দক্ষিণী তারকাদের দেখা যাবে। নিজের বিশ্ব রেকর্ড সম্বন্ধে উচ্ছ্বসিত সুচেতা জানায়, এক বছর আগেই একটানা দীর্ঘক্ষণ ধরে গান গাওয়ার রেকর্ডটি করেছিল সে। দুবাইয়ের ইন্ডিয়ান কনসুলেট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১০২টি ভাষায় টানা ৬ ঘন্টা ১৫ মিনিট ধরে সে গান গেয়েছিল।

বিশ্ব রেকর্ড প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে নিজের গানের অ্যালবাম নিয়েও মুখ খোলে সুচেতা। নতুন অ্যালবামের নাম “আল হাবিবি”। মালয়ালম তারকাদের এই অ্যালবামের ভিডিওতে দেখা যাবে বলে জানিয়েছে সে। পড়াশোনার ক্ষতি না করেই দিব্যি সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের প্রবাসী কিশোরী সুচেতা সতীশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১০০ গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ডটি শুধুমাত্র গানের ক্ষেত্রেই নয়, নাচ আঁকা অভিনয় মডেলিং প্রভৃতি একাধিক বহুমুখী প্রতিভার ক্ষেত্রেই বছর বছর সেরাদের বাছাই করে। তাদের এই রেকর্ড বিশ্বের দরবারে দেশের সাফল্যের মুকুটেই যোগ করল আরো একটি নতুন পালক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *