টাকার মূল্যে ভারতকে ছুঁতে চলেছে বাংলাদেশ! ১০ বছরে সর্বোচ্চ পতন বাজারে

টাকার মূল্যে ভারতকে ছুঁতে চলেছে বাংলাদেশ! ১০ বছরে সর্বোচ্চ পতন বাজারে

কলকাতা : একদিকে বিশ্বজোড়া করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অচলাবস্থা৷ পাশাপাশি চিনের সঙ্গে চলছে মার্কিন বাণিজ্যের লড়াই৷ আর তার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজার৷ ১০ বছরে সর্বোচ্চ পতন দেখা দিয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে৷ চড়ছে টাকার দাম৷ সর্বনিম্ন অপরিশোধিত তেলের দাম৷ দোল উৎসবের মধ্যেও টালমাটাল ভারতীয় বাজার৷ আর এই বেসাল বাজারে টাকার দরে বাংলাদেশকে ছুঁতে চলেছে ভারত৷ এমনই ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা৷

ভারতীয় টাকার দর ছুঁয়ে ফেলতে পারে বাংলাদেশের টাকাকেও৷ বাংলাদেশের ১০০ টাকা এখন ভারতীয় মূল্য ৮৭ টাকা ০৯ পয়সা৷ এই দর বাংলাদেশি টাকার সর্বোচ্চ হার বলে জানা গিয়েছে৷ আজ সোমবার ১ মার্কিন ডলারে ভারতীয় টাকার দর দাঁড়িয়েছে ৭৩.৯৮ টাকা৷ ডলারের তুলনায় টাকার দাম যে হারে পড়ছে তাতে বাড়ছে উদ্বেগ৷

আজ ভারতীয় ১০০ টাকায় বাংলাদেশে মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১৩.৭৭ টাকা৷ ভারতের ১ টাকা বাংলাদেশে মূল্য ১.১৪ টাকা৷ এক ডলার এখন ভারতীয় মূল্য ৭৩.৯৪টাকা৷ সেখানে ১ ডলার এখন বাংলাদেশের টাকার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪.২টাকা৷ ডলার পিছু ভারতের থেকে ১০.২৪ টাকা কম বাংলাদেশের টাকার দর৷ গত ২৯ আগস্ট ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ১০০ টাকা এখন ভারতীয় মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৮৮ পয়সার কাছাকাছি৷ এখন বাংলাদেশের ১০০টাকা ভারতীয় বাজারে দাঁড়িয়ে ৮৭.৮৯টাকা৷

লাগাতার ভারতীয় টাকার দাম পড়তে থাকায় চওড়া হাসি ফুটেছে ভারতে আসে বাংলাদেশিদের মধ্যে৷ শহরের শপিং মলে বাংলাদেশিদের কেনাকাটাও হিড়িক বেড়েছে৷ বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানিও বাড়েছে বলেও খবর৷ জানা গিয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলার ১০০ টাকা ভারতী টাকায় সমান ছিল৷ পরে তা অর্ধেকেরও কমে এসে দাঁড়ায়৷ কিন্তু, এখন সেই একই দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা৷

সোমবার বাজার খুলতেই শেয়ারবাজারে বড়সড় পতন দেখা দিয়েছে৷ দু’হাজার পয়েন্ট নেমেছে সেন্সেক্স৷ ৬০০ পয়েন্টের বেশি নিচে নেমে গিয়েছে নিফটি৷ গত গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ শেয়ারে পতন৷ গত এক সপ্তাহ ধরে বেসামাল ভারতীয় বাজার৷ আর এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাজার বিশেষজ্ঞরা৷ তাদের একাংশের দাবি, গত সাত দিন ধরেই ভারতীয় বাজারে চূড়ান্ত অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে৷ তার মূল দু’টি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক৷ আর তার জেরে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে৷ দ্বিতীয় কারণ, ইয়েস ব্যাংকের ভরাডুবি৷ ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না লগ্নিকারীরা৷ আর জেরে এই পতন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 8 =