এটা জোট, না জোট জোট খেলা ! কবে সিরিয়াস হবে বিরোধীরা?

এটা জোট, না জোট জোট খেলা ! কবে সিরিয়াস হবে বিরোধীরা?

indian politics

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একার শক্তিতেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে। এবার তারা হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে। যত দিন যাচ্ছে ততই রাজ্যে রাজ্যে জাঁকিয়ে বসছে বিজেপি। সবচেয়ে বড় কথা কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য যেখানে বিজেপির সংগঠন অত্যন্ত খারাপ, সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা সবার নজর কাড়ছে। এই আবহের মধ্যে বিজেপিকে হারানোর জন্য যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি করেছে বিরোধীরা, সেটা কি আদৌ কোনও জোট, নাকি জোট জোট খেলা? লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই এই প্রশ্ন আরও প্রকট হচ্ছে। প্রবল শক্তিশালী বিজেপি ও তার সহযোগীদের হারানোর জন্য যে পর্যায়ের চিন্তাভাবনা করে আসন সমঝোতার মাধ্যমে লড়াই চালানো উচিত ছিল বিরোধীদের, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না।

বিজেপিকে হারানো তো দূরের কথা, গত বারের থেকে বিজেপির ফল আরও ভাল হবে কিনা সেই চর্চাও শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। এমনিতেই রাম মন্দির উদ্বোধনের পর হিন্দুত্ব আবেগকে দেশ জুড়ে আরও ছড়িয়ে দেবে গেরুয়া শিবির। তার মোকাবিলা বিরোধীরা কীভাবে করবে তার কোনও সুনির্দিষ্ট দিশা দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে আদৌ জোট হবে কিনা তা কারও জানা নেই। একই অবস্থা উত্তরপ্রদেশে। দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে মহারাষ্ট্র বা তামিলনাড়ু, কোথাও সুনির্দিষ্ট ভাবে আসন সমঝোতা হয়নি। আর কেরলে তো জোট হবে না এটা সকলেই জানেন।

একমাত্র তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে কিছুটা হলেও আসন সমঝোতার কাজ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মসৃণ গতিতে এগোচ্ছে। কিন্তু সেটিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে দিতে আরও যদি এক দেড় মাস লেগে যায়, তাহলে অপ্রতিরোধ্য বিজেপিকে থামানোর জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেই সময় তো আরও কমে যাবে বিরোধীদের কাছে। আর এসব জেনেও বিরোধীরা কার্যত হাত গুটিয়ে বসে আছেন। শুধু ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি, আর নিজের মতো করে সব কিছুকেই ঠিকভাবে চলছে দেখা। অর্থাৎ ‘অল ইজ ওয়েল’, এমনটাই মনোভাব বিরোধীদের। যা কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে মিলছে না। ‌সেখানে বাস্তব পরিস্থিতি অন্য কথাই বলছে। বিজেপি যেখানে আসন ধরে ধরে রণকৌশল ঠিক করছে, যে ১৬০টি আসনে তারা দুর্বল সেই অনুযায়ী ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির, তখন বিরোধীরা আগের মতোই ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। তাই কবে তাদের হুঁশ ফিরবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে  দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *