নয়াদিল্লি: করোনা কাঁটায় রুদ্ধ পৃথিবীর গতি৷ ব্যস্ততায় মোড়া শহরগুলি এখন শুনসান৷ স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ করোনা মোকাবিলায় ক্রমাগত যুদ্ধ চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু খামতি রয়েছে চিকিৎসার সরঞ্জামে৷ নেই পর্যাপ্ত মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় পোশাক৷ এই পরিস্থিততে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বের ধনকুবেররা৷ কিন্তু টিকি মিলল না ভারতীয় কোটিপতিদের৷ তাঁদের এই নিরবতায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
কোরনায় মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি বিল গেটস৷ সংক্রমণ রুখতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁর সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন৷ পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার জন্য বেলজিয়ামের প্রথমসারির একটি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার মেডিসিনাল মডিকিউল পাঠানোর বন্দোবস্তও করেছেন তিনি৷ ওয়াশিংটনের বাসিন্দারা যাতে ঘরে বসে করোনা পরীক্ষা করতে পারেন, সে জন্য সম্প্রতি ৩৭ কোটি টাকা দান করেছেন বিল গেটস৷
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে কোনও কসুর রাখেননি চিনের উদ্যোগপতি এবং আলিবাবা-র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা৷ কোরনার প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন তিনি৷ সম্প্রতি আফ্রিকা, জানপান ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় দশ লক্ষ মাস্ক এবং পাঁচ লক্ষ টেস্ট কিটস পাঠান এই শিল্পপতি৷ এগিয়ে এসেছেন টেকনোলজি দুনিয়ার অন্যান্যরাও৷ কিন্তু করোনা মোকাবিলায় ভারতীয় সংস্থাগুলির ভূমিকা শূন্য৷
ছেলে মেয়ের বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা মুকেশ আম্বানি শুধুমাত্র কলার টিউনে কাশির শব্দ শোনানো ছাড়া আরো কোনও রকম সাহায্যের হাত বাড়াননি৷ যা স্বভাবতই নজর কেড়েছে আমজনতার৷ বিশ্ববাসীকে সাহায্য করা কোনও বাধ্যতামূলক কাজ নয়৷ কিন্তু যাঁদের জন্য আজ আপনারা এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো আপনাদের নৈতিক কর্তব্য৷