আকাশে লক্ষ্যভেদ করতে আসছে ‘অর্জুন’! শত্রুদেশের ড্রোন ধ্বংসে নতুন ‘অস্ত্র’ ভারতীয় সেনার

আকাশে লক্ষ্যভেদ করতে আসছে ‘অর্জুন’! শত্রুদেশের ড্রোন ধ্বংসে নতুন ‘অস্ত্র’ ভারতীয় সেনার

 নয়াদিল্লি:  কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে নয়, ভারতে মাদক এবং অস্ত্র পাঠাতে অন্য এক পন্থা নিয়েছে পাকিস্তান৷ ড্রোনের মাধ্যমে সুকৌশলে ভারতের মাটিতে তারা পাচার করছে নিষিদ্ধ মাদক এবং অস্ত্র৷ পাকিস্তানের সেই চোরা চালানকারী ড্রোন রুখতে নতুন উপায় বার করল ভারতীয় সেনা। নিষিদ্ধ মাদক এবং অস্ত্রের চালান রুখতে এবার আকাশে পাহারা দেবে সেনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাখি। এটি একটি চিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই চিলের নাম রাখা হয়েছে ‘অর্জুন’। খুব শীঘ্রই আকাশে ‘লক্ষ্যভেদ’ করবে ভারতীয় সেনার এই পাখি৷ আর কয়েক দিনের অপেক্ষা৷ তেমনটাই খবর সেনা সূত্রে৷  

আরও পড়ুন- NDTV-র পরিচালন গোষ্ঠী থেকে ইস্তফা প্রণয় ও রাধিকা রায়ের, বোর্ডে এলেন নয়া ডিরেক্টর

অর্জুনকে কী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, শত্রুদেশের ড্রোন দেখা মাত্রই তা ধ্বংস করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এই চিল পাখিটিকে। যে ভাবে ক্রমাগত সীমান্তের ওপাড় থেকে ভারতে ড্রোনের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছিল তা রুখতে দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ করার উপায় খুঁজছিল ভারতীয় সেনা৷ ড্রোন আটকানোর পাকাপাকি উপায় খুঁজতে গিয়ে একাধিক পন্থার কথা ভাবছিলেন ভারতীয় সেনাকর্তারা। তাঁর মধ্যে ছিল চিল দিয়ে ড্রোন ধ্বংস করার ভাবনাও৷ প্রাথমিক ভাবে সেই ভাবনা সফল হয়েছে। ফলে এবার থেকে সেনাকর্তাদের হাতে এক মজবুত অস্ত্র হতে চলেছে ‘অর্জুন’৷  ইতিমধ্যেই ড্রোন ধরার কৌশল শিখে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই পাখি।

বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের আউলিতে ‘যুদ্ধ অভ্যাস’ নামে যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া চলাচ্ছে ভারত এবং বন্ধু আমেরিকা। এটি দুই দেশের অষ্টাদশ যৌথ মহড়া। শান্তিরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধারকাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই মহড়া৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, দুই দেশের এই মহড়ায় প্রথম বারেই নিজের কেরামতি দেখিয়েছে অর্জুন। তার কেরামতির সেই ভিডিয়োও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের নজর কেড়েছে৷ 

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কম করে দু’শো বার সীমান্ত টপকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছে পাকিস্তানি ড্রোন। তার মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন পাঞ্জাব সেক্টর ও কিছু জম্মু সেক্টরে ধরা পড়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতে অস্ত্র পাঠাতে পাঞ্জাব সীমান্তে আটবার ড্রোন পাঠানো হয়েছে। প্রতিবার অন্তত ১০ কেজির প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ছিল অস্ত্র, বিস্ফোরক, মোবাইল বা স্যাটেলাইট ফোন৷ এই ড্রোনগুলি অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়ায় তা মাঝেমধ্যে ভারতীয় সেনার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেই কারণেই এই নতুন পন্থা নেওয়া হয়েছে৷ 

এক সেনা আধিকারিকের কথায়, “প্রশিক্ষিত পাখির সাযাহ্যে শত্রুপক্ষের ড্রোন ধ্বংস করার এই কৌশল ভারতে প্রথম। এর আগে শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর আগে কখনও পাখি ব্যবহার করা হয়নি।’’