নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণকে ‘বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ করোনায় মৃত্যু হলে চার লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী যারা করোনার চিকিৎসা কিংবা উদ্ধারকার্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের মৃত্যু হলেও মিলবে একই অংকের ক্ষতিপূরণ৷ শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হবে এই আর্থিক সাহায্য৷
ইতিমধ্যেই এদেশে ৮৩ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের৷ পরিস্থিতির খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্ধেয় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের একটি অফিস। ইনফোসিসের এই অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির শরীরে করোনার লক্ষ্মণ ধরা পড়ার পরই আতঙ্ক ছড়ায়। বন্ধকরে দেওয়া হয় দফতর৷
এর আগে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে ওই সভা বাতিল করে দেয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)৷ শুক্রবার দিল্লিতে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধের৷ এই নিয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ল ২৷ করোনা হানায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস মোকিবিলায় কোনও প্রতিষেধক তৈরি হয়নি৷
এদিকে নোভেল করোনা রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ৷ জমায়েত এড়িয়ে চলায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ করোনা সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী মহামারির তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ সেই মহামারি রুখতে কোমর বেঁধে নেমেছে ভারত সরকার।