নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের জব পোর্টালে বেকারদের ভিড়৷ এক কোটিরও বেশি মানুষ চাকরির জন্য অনুরোধ জানালেন মোদী সরকারের জব পোর্টালে৷ ২০১৫ সালে এই পোর্টালটি চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ উদ্দেশ্য ছিল, চাকরির খোঁজে থাকা বেকার যুবক-যুবতী ও কর্মী সন্ধানে থাকা সংস্থাগুলিকে একছাদের নীচে আনা৷
এই পোর্টালে বেকার যুবক-যুবতীরা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ইত্যাদি তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। একই সঙ্গে, বিভিন্ন চাকরিদাতা সংস্থাও এখানে নিজেদের বিবরণ নথিবদ্ধ করতে পারে। কোন সংস্থার কী ধরনের এবং কত কর্মী প্রয়োজন সেটা জানাতে পারে। ৬৭.৯৯ লক্ষ চাকরির তথ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের এই পোর্টালে৷ তবে কতজন নথিবদ্ধ বেকার চাকরি পেয়েছেন, পোর্টালে সেই তথ্যের উল্লেখ নেই৷ সরকারের বক্তব্য, এই পোর্টাল বেকারদের হিসেব রাখার জন্য৷ চাকরির আবেদন করার জন্য নয়৷
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার এর আগে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে সাফ জানিয়েছিলেন, এনসিএস পোর্টালের মাধ্যমে কতজন লোক চাকরি পেয়েছেন সে বিষয়ে তথ্য রাখা হয় না। পোর্টালটিতে শুধুমাত্র নথিবদ্ধ শূন্যপদ ও নথিবদ্ধ বেকার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পোর্টালটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, চাকরি প্রার্থীর তুলনায় কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। প্রথম বছর ২০১৫-১৬ সালে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮০টি চাকরির কথা পোর্টালে জানানো হয়েছিল। ওই বছর চাকরি পেয়েছিল ৩২ হাজার ৯১৬ জন। প্রথম বছর চাকরি দেওয়া ৫৫৯টি সংস্থার উল্লেখ পোর্টালে রয়েছে।
ধীরে ধীরে পোর্টালের খবর ছড়াতে শুরু করলে কর্মহীনের সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮০৮ জন বেকার রয়েছেন সেখানে। যেখানে শূন্যপদ মাত্র ২৬ হাজার ৩০৮টি। ভারতে রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে কর্ণাটকে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ৪৫,৭৬৪ ও ৪২,৫০৬টি কর্মসংস্থান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৪,৪১৭টি কর্মসংস্থান৷