নয়াদিল্লি: উত্তর পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে ভারতের দ্বন্দ্ব লেগে প্রায় সারাবছরই। তবে সম্প্রতি সীমান্ত সংঘর্ষে পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। লাদাখ সীমান্ত অঞ্চলে চিনের শক্তিবৃদ্ধি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতের কপালে। আর তাই নিজের সামরিক শক্তিবৃদ্ধির দিকে ঝুঁকেছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে রাশিয়ার কাছে থেকে সে দেশের সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী মিসাইল এস-৪০০ (S-400) কেনার কথা ঘোষণা করেছিল ভারত। কিন্তু তাতে এবার বাঁধ সাধল আমেরিকা। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের একটি রিপোর্টে ভারতকে রাশিয়ার মিসাইল কেনার বিষয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এবং বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের মাধ্যমগুলিতে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু ভারত প্রযুক্তিগত লেনদেন এবং যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে বেশি আগ্রহী।”
এরপরেই এসেছে মার্কিন হুঁশিয়ারি, “রাশিয়ায় তৈরি এস-৪০০ মিসাইল কেনার জন্য ভারত যে কয়েকশো কোটি টাকার চুক্তি করেছে তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেবে।” উল্লেখ্য, আমেরিকার কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (CRS)-এর এই রিপোর্ট মার্কিন কংগ্রেসের অফিসিয়াল কোনো রিপোর্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা স্বতন্ত্র ভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করে থাকেন।
রাশিয়ার শক্তিশালী মিসাইল এস-৪০০ কেনার বিষয়ে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ কোটা ডলারের চুক্তি করেছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। বায়ুসেনার প্রতিরক্ষা সহায়ক এই মিসাইলের ৫টি ইউনিট কেনার কথা বলেছিল ভারত। তখনও ভারতের এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদন পায় নি। ২০১৯ সালেই মিসাইল কেনার জন্য রাশিয়াকে টাকাও দিয়ে দেয় ভারত। গত মাসে রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয় এস-৪০০ মিসাইল সংক্রান্ত ভারতের সঙ্গে তাদের চুক্তি সঠিক ভাবেই এগোচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন নীতির সমালোচনাও করা হয় রাশিয়ার তরফে।