জেনেভা: প্রথম দফার করোনা সংক্রমণে আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের কিছু দেশ, যেমন ইটালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন সামনের সারিতে ছিল। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় লকডাউন। তখনও সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে তালিকার তলার দিকেই ছিল ভারত। ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, ভারত গরমের দেশ, গরমে বাঁচতে পারে না কোভিড-১৯ ভাইরাস এমন নানা মত এবং গুজব ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। কিন্তু দেখা গেল, লকডাউনের পর ইউরোপের দেশগুলোর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা শুধরে গেলেও ভারতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে দিন কে দিন।
আরও পড়ুন: ‘মাস্ক কিনব না খাবার?’ চরম যাঁতাকলে দক্ষিণ এশিয়ার অগণিত মানুষ
ভারতের মতো একই অবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেরও। প্রথম দিকে তেমন সংক্রমণ না না হলেও দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ে বেসামাল দশা ফুটবলের দেশের। প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর দিশেহারা অবস্থা। এদিকে এক নম্বর স্থান দখল করে রেখেছে আমেরিকা। সংক্রমণ বা মৃত্যু কোনও কিছুই আটকে রাখা যাচ্ছে না মার্কিন মুলুকে। আমেরিকা, ব্রাজিল এবং ভারত এই তিন দেশই এখন তালিকার প্রথম তিনে। এই তিন দেশে প্রতিষেধক আসার আগে অবধি সংক্রমণ এবং মৃত্যু যে কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য আশার কথা শোনাচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এই তিন দেশ এখনও অতিমারিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: করোনা জয়ী নিউজিল্যান্ড, তবুও সতর্ক ওয়েলিংটন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান ডঃ মাইক রায়ান বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন ভারত, আমেরিকা এবং ব্রাজিল এখনও অতিমারিকে জয় করতে পারে। তাঁর কথায়, এই তিনটি দেশ শক্তিশালী এবং যোগ্য গণতান্ত্রিক দেশ। তাদের যা অভ্যন্তরীণ শক্তি আছে তাতে এখনও করোনাকে হারাতে পারে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল পরিস্থিতি ভারতের। হু-এর এই বক্তব্য কিন্তু খানিকটা হলেও অন্যরকম বলছে।