নয়াদিল্লি: বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। করোনা নামক অতিমারিতে ফের আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ব্রাজিলকে ছাপিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানটি আপাতত ভারতের দখলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল দেশ।
করোনা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ঝোড়ো গতিতে৷ আর তাতেই দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫৩ জন। আর সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ব্রাজিলের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৪৩। এর আগে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্তদের নিরিখে ব্রাজিলকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত। ফের সেই একই ছবি দেখা গেল এবছরও৷
মহারাষ্ট্র-সহ ১০টি রাজ্যে সংক্রমণের হার প্রায় ৮৩ শতাংশ৷ ভারতের অর্থনীতির রাজধানী বলে পরিচিত মুম্বইয়ের অবস্থা শোচনীয়৷ মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আর কদিনের মধ্যেই সেখানকার সরকার বাধ্য হয়েই লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছেন। দিল্লিতেও অবস্থা তথৈবচ। সেখানে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি এবং দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এটাই দিল্লির সর্বোচ্চ সংখ্যা। হরিয়ানাতেও চলছে নাইট কার্ফু। করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে উত্তরপ্রদেশেও৷ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও সঙ্গীন। রবিবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩৯৮-এ, যা ছিল সর্বকালীন রেকর্ড। সোমবার সেই রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫১১। ছত্তিশগড়ে অবস্থা এতটাই খারাপ যে মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালে৷
প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর এবার ভারতে আসতে চলেছে স্পুটনিক ভি। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন এখানে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে৷ ৬০তম দেশ হিসেবে ভারত এই ভ্যাকসিন পেতে চলেছে।