বেজিং: লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পরে দুই দেশের উত্তাপ তুঙ্গে। প্রায় দু’মাসের ওপর সময় কেটে গেলেও এখনো সেই ঘটনা নিয়ে কোনোরকম সমাধানসূত্র বের করতে পারেনি নয়াদিল্লি এবং বেজিং। এদিকে চীন বিরোধী একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, অতি উত্তেজনা আরও বেড়েছে। তবে বৈঠক যে হয়নি তা নয়, একাধিকবার সীমান্ত বিষয়ক বৈঠক হওয়ার পরেও রফাসূত্র মেলেনি। তবে এবার হয়তো সমাধানসূত্র বেরোবে, ইঙ্গিত মিলল তার। ইঙ্গিত দিলেন খোদ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সাংঘাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে শি জিংপিং বার্তা দেন, সন্ত্রাসবাদ সহ বিভিন্ন উত্তেজনা মূলক ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সূত্র বের করার দিকে জোর দিতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সার্বিক উন্নতির কারণ। জিংপিংয়ের কথায়, ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও তা ঘটবে। জিংপিং বলছেন, সব দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান সূত্র বের করতে হবে, একে অপরকে আরও বেশি ভরসা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে যে বড় বড় সমস্যার সমাধান হতে পারে তা বিশ্বাস করেন চীনা রাষ্ট্রপতি। এক্ষেত্রে তিনি যে ভারত এবং চীনের লাদাখ সংঘর্ষের ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করেছেন তা স্পষ্ট। কারণ নির্দিষ্টভাবে জিংপিং উল্লেখ করেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গঠন করায় মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, তাতেই জনসাধারণের সার্বিক উন্নতি সম্ভব।
লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর প্রতিদিনই সীমান্তের কিছু না কিছু ঘটছে। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র না বেরোলে সেনাবাহিনী হবে একমাত্র সমাধানের পথ। এই মন্তব্যের পর সার্বিকভাবে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। অন্যদিকে, চীনের তরফেও জানানো হয়েছিল, সীমান্তে ভারতের সঙ্গে কোনরকম আপস করা হবে, উল্টে ভারত চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। যদিও তার পরবর্তী ক্ষেত্রেও দুই রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে একাধিকবার, তবে সমাধানসূত্র মেলেনি। এবার আদেও লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে কিনা তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।