ব্রিসবেন: ভারতীয় বোলিংয়ের দুই স্তম্ভ, দুজনেই খেলার বাইরে। যশপ্রীত বুমরা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন-হীন বোলিং লাইনআপ। শুক্রবার ভোরে উঠে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টেস্ট দেখতে বসে খানিক চমকই লেগেছে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
রিজার্ভ বেঞ্চের অনভিজ্ঞ ৫ বোলারকে নিয়ে ব্রিসবেনে নেমেছে ভারতীয় দল। কিন্তু প্রথম দর্শনে যা মনে হয়েছে, খেলা যত গড়িয়েছে সেই ছবিটা ততই পাল্টাতে শুরু করেছে। মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর, নভদীপ সাইনি, টি নটরাজন- ৫ আনকোরা বোলার অজি বাহিনীর বিরুদ্ধে আজ রক্ত জল করে লড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৭.৫ ওভার বল করে কুঁচকিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান নভদীপ সাইনি। বাকি দিনটা ভারতকে লড়তে হল চার বোলারেই।
শুক্রবার ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে অস্ট্রেলিয়া ২৭৫ রানে ৫ উইকেট। কিন্তু রানের হিসেব দেখলে ভারতীয় বোলারদের লড়াই বিচার করা যাবে না। মার্নাস লাবুশানের ব্যাট থেকে ২০৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস না এলে কপালে দুঃখ অনিবার্য ছিল ক্যাঙারু বাহিনীর।
শুরুতেই সিরাজের বলে ডেভিড ওয়ার্নার এবং শার্দূল ঠাকুরের বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান মার্কাস হ্যারিস। এরপরে ম্যাচের হাল ধরেন ফর্মে থাকা মার্নাস লাবুশানে এবং স্টিভ স্মিথ। এরপর অভিষেক ম্যাচ খেলা ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান স্মিথ। এরপরে ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে চলেন লাবুশানে। এরইমধ্যে ভারতীয় অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পুজারা একটি করে জীবনদান দেন লাবুশানেকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে তার জুটি ভাঙেন অভিষেককারী নটরাজন।
৪৫ রান করে ম্যাথু ওয়েড সাজঘরের পথ ধরলে সদ্য শতক হাঁকানো লাবুশানে’ও তার পিছু নেন। দুটি উইকেটই নেন নটরাজন। এরপরে সন্ধ্যে পর্যন্ত ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন অধিনায়ক টিম পেইন (৬২ বলে ৩৮ রান) ও ক্যাম গ্রীন (৭০ বলে ২৮ রান)। গাব্বার আগুনে বাইশ গজে ভারতের অশ্বিন-বুমরাহীন লাইনআপের ৪ অনভিজ্ঞ বোলারের লড়াই মনে রাখবে ক্রিকেট দুনিয়া। তবে নভদীপ সাইনির চোট ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য ভয়ের খবর বটে।